কলকাতা: 'কিছু খুচরো চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না।' নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের আরেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এই (দলবদলের) অসুখ মীরজাফরদের আমল থেকে চলে আসছে।
সুব্রত বলেন, ‘শুভেন্দুর দলবদলে অবাক হইনি। এই ধরনের খুচরো চলে যাওয়ায় কোনও ক্ষতি হবে না। এটা এক ধরনের রাজনৈতিক অসুখ, মীরজাফরের সময় থেকে চলছে।’
একইসঙ্গে বিজেপিকেও একহাত নিলেন তিনি। বলেন, ‘যে দল উৎসাহের সঙ্গে নিলেন, তাঁদের দলেও বহুবার হয়েছে।’
তিনি মনে করিয়ে দেন, মমতার জনপ্রিয়তা যতদিন থাকবে তৃণমূলকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। সুব্রত বলেন, ‘একজন শুভেন্দুকে নিয়েই ২৫০ আসনের দাবি হাস্যকর।’
পঞ্চায়েতমন্ত্রীর দাবি, ‘তৃণমূল জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। মমতার সমকক্ষ কোনও দলে আর কেউ নেই।’
তিনি যোগ করেন, ‘যাঁরা নিজের দলকে পিছন থেকে ছুরি মারে তারা বড় জায়গায় আসতে পারে না। এই বিশ্বাসঘাতকদের বাংলার মানুষ চিনে নেবে।’
প্রসঙ্গত, শনির দুপুরে মেদিনীপুরের মাটিতে সূচনা হয় রাজনীতির নতুন সমীকরণের। অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই ভাইপো ইস্যুতে সুর চড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার মেদিনীপুরের সভা থেকে তিনি ডাক দেন, "তোলাবাজ ভাইপো হঠাও"।
নাম না করে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু। বলেন, আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে? কে বলছে? ৯৮ সালে তৃণমূল যখন প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এনডিএ ছিল। ৯৯ সালে তৃণমূল জয়েন করি। এই মাঠে কয়েকদিন আগে মমতা বলেছেন, আপনি এবারেও দ্বিতীয় হবেন। প্রথম হতে পারবেন না।
এমনকী, দু’দশক তৃণমূলে কাটানোর পর পর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের খোলা চিঠি দিয়ে শুভেন্দু দাবি করলেন, ১০ বছর কেটে গেছে। কিন্তু, এক দশক আগেও আমাদের ভাই-বোনেরা যে সমস্যার সম্মুখীন হতেন, আজও তাঁদের সেই সমস্যারই মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এক সময় যে দলের জন্য আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি, সেই তৃণমূলের গভীরে আজ পচন ধরেছে।