কলকাতা: আরও কিছু ছাড় দিয়ে রাজ্যে বহাল থাকল আংশিক লকডাউন। ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে সরকারি-বেসরকারি বাস-অটো-টোটো। আপাতত বন্ধই থাকছে লোকাল ট্রেন –মেট্রো রেল। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যাতায়াতে বহাল থাকছে কড়াকড়ি।এই ঘোষণা করে  করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এখনও অনেকেই দেখছি মাস্ক পরছেন না। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ যাতে না আসে, সে জন্য মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে হবে। তৃতীয় ঢেউ যাতে কোনওভাবে যাতে আঘাত হানতে না পারে তার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনা-বিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, যে সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বিধির মতো করোনা সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। 


WB New Corona Guidelines: ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে সরকারি-বেসরকারি বাস, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে একাধিক দফায় রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন আয়োজন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যেদিন রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন হয়, সেদিন রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। এজন্যই দফা কমিয়ে এনে ভোটগ্রহণের দাবি জানানো হয়েছিল। তিনি বলেছেন,  প্রথম দফার ভোটের সময় সংক্রমণের হার যেখানে ছিল অত্যন্ত কম, তা শেষ দফার ভোটের সময় প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল। এখন সেই হার ৩.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অন্যান্য রাজ্যে জনসংখ্যা কম। কিন্তু এ রাজ্যে জনসংখ্যা ও জনঘণত্ব উভয়েই বেশি। এ সত্ত্বেও এখন ডিসচার্জের হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.৩৬ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, একটা সময় দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ২২ হাজারে। এখন তা কমে দুই হাজারের নিচে এসেছে। তিনি আরও বলেছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ২.১২ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। সুপার স্প্রেডার ক্যাটাগরিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও অনেক মানুষের টিকাকরণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী করোনার তৃতীয় দফার ঢেউয়ের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি নেমে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।