কলকাতা: সরকারি বাস, বেসরকারি বাস চলাচলে ছাড় সরকারের। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে সরকারি-বেসরকারি বাস। তবে আপাতত আপাতত লোকাল ট্রেন ও মেট্রোয় বহাল বিধিনিষেধ। করোনা নিয়ে বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বহাল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


আজ মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেছেন, ‘৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সেলুন, পার্লার। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সবজি ও মাছের বাজার। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বাকি সমস্ত দোকান। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে খোলা যাবে জিম। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিধিনিষেধ বহাল। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যাবে সমস্ত বেসরকারি অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সমস্ত বেসরকারি অফিস। কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে সংস্থাকে। কিছুটা ছাড় দিয়ে পরিস্থিতি বিচার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। রাজ্যে ২ কোটি ১২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন পেয়েছে। ছবি দেখিয়ে যারা প্রতারণা করে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। ছবি কাজে লাগানো ঠকবাজদের কাজ। চোখের সামনে কে কী ব্যবসা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে পুলিশ-পুরসভা দায়িত্ব এড়াতে পারে না। প্রতারককে যারা সাহায্য করেছে, তাদের কাউকেই ছাড় নয়। যারা প্রতারক, তারা বিজেপির থেকেও ইন্ধন পেয়েছে।’


https://bengali.abplive.com/news/aaj-focus-e/wb-new-corona-guidelines-bus-services-will-resume-not-train-and-metros-says-cm-mamata-informs-on-press-conferences-821039/amp


রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্যপাল এখন কেন উত্তরবঙ্গে গেলেন? আমি এরকম রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি। রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে ৩টি চিঠি লিখেছি। জিটিএ নিয়ে তদন্তের আগে আগে রাজ্যপালের সফরের তদন্ত হওয়া উচিত। কাদের নিয়ে গেছে, কত টাকা খরচ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিত। দার্জিলিঙের উপর এত রাগ কেন? যা ইচ্ছে তাই করবেন, মেনে নেব না। উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জেনেবুঝে দার্জিলিঙে গেছেন রাজ্যপাল। শুধু বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গকে ভাগের চক্রান্ত চলছে। এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল।’