হাওড়া : রাজ্যে বাড়ানো হল করোনা রুখতে জারি থাকা বিধিনিষেধের মেয়াদ। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকলেও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য দেওয়া হল বাড়তি ছাড়। যার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বাস চলাচলে ছাড়পত্র। বাসের পাশাপাশি অটো, টোটোর ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাচলে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু আগামী ১৫ তারিখ পর্যন্ত জারি বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া হয়নি ট্রেন ও মেট্রো চলাচলে।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণার সময় ট্রেন চলাচল নিয়ে কিছু উল্লেখ না করলেও তাঁকে সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, 'আমরা কি ট্রেন নিয়ে কিছু উল্লেখ করলাম?' তারপরে নিজেই উত্তরের সুরে জানিয়ে দেন, 'সব একসঙ্গে খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। বিধিনিষেধ শক্তভাবে আরোপ করার ফলেই রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তাই পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত।' কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ট্রেন পরিষেবা চালু হলে সেক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণ একলাফে ফের বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই তা করা সম্ভব নয়। অবশ্য আগামী ১৫ জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলতে পারবে সরকারি-বেসরকারি বাস, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বেশ কিছু প্রান্তে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু নিয়ে বিক্ষোভ-অবরোধ দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় যা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারাও নিয়েছিল। লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে স্থানীয় মানুষ টানা কয়েকদিন অবরোধ করেন স্টাফ স্পেশাল। এমনকি জিআরপিকে তাড়া, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির মতো হিংসাত্মক ঘটনারও সাক্ষী থাকতে হয়েছিল সকলকে।
এখনও অনেকেই মাস্ক পরছেন না, এটা কিন্তু বাধ্যতামূলক, বললেন মমতা
বাস চলাচলে ছাড়পত্রের পাশাপাশি আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সেলুন, পার্লার। সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সবজি ও মাছের বাজার। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে বাকি সমস্ত দোকান। ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে খোলা যাবে জিম। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিধিনিষেধ বহাল। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা যাবে সমস্ত বেসরকারি অফিস। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে সমস্ত বেসরকারি অফিস। কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে নির্দিষ্ট সংস্থাকেই। কিছুটা ছাড় দিয়ে পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন-