তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ১৬ অগাস্ট তৃণমূলের ‘খেলা হবে দিবস’ পালন হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুরু থেকেই তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে আসছে পদ্মশিবির। “আজকের দিনে ‘খেলা হবে দিবস’ পালনের নামে ১৯৪৬ সালের ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস’-কে মান্যতা দিচ্ছে রাজ্য সরকার”, এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে দলের তরফে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচিতে যোগদান করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন তিনি।


এই প্রসঙ্গে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোজাসুজি কটাক্ষ, ‘গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের সঙ্গে ‘খেলা হবে’ মিলিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দিতে চাইছেন?’ তাঁর দাবি, সেদিন সংগঠিতভাবে গণহত্যা করা হয়েছিল। ‘সেদিনের খেলার সঙ্গে আজকের খেলা মিলে যাচ্ছে’, বলে মন্তব্য করেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতির বক্তব্য, ‘খেলা হবে দিবস কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। আজকের দিনটিকে মান্যতা দেওয়া মানে অন্য দেশকে মান্যতা দেওয়া।’


সোমবার বিষ্ণুপুর শহরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ উপলক্ষ্যে মিছিল শুরু করে বিজেপি। মিছিল রবীন্দ্র মূর্তির সামনে পৌঁছতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী তাঁদের পথ আটকে দেয়। উপস্থিত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সামান্য ধস্তাধস্তিও হয়। মিছিল আটকানো প্রসঙ্গে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমতি নিইনি বলে আমাদের আটকানো হল। কিন্তু ‘খেলা হবে’ বলে ডিজে বাজানো হচ্ছে, পিকনিক করা হচ্ছে, তার অনুমতিপত্র দেখানোর কথা বলা হোক।’ তাঁর অভিযোগ, ‘বিরোধীরা কোনও কর্মসূচি নিলে তা করতে পারে না। অথচ করোনা বিধি না মেনেই শাসক দল দেদার কর্মসূচি করছে।’ রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘নিজেদের রাজ্যেই গণতন্ত্র নেই, অথচ অন্য রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিবাস্বপ্ন দেখছে তৃণমূল।’


এদিনের এই কর্মসূচিতে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী, কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা এবং আরও অনেকে।