সঞ্চয়ন মিত্র, ঋত্বিক মণ্ডল ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: চতুর্থীতেও প্রকৃতির চোখ রাঙানি৷ সকাল থেকেই মেঘ-রোদের লুকোচুরি৷ মাঝে মাঝে কয়েক পশলা বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তা চলতে পারে নবমী-দশমী।
ষষ্ঠী-সপ্তমীটা হয়তো কাটবে নির্বিঘ্নেই। কিন্তু অষ্টমী থেকে চোখ রাঙাতে পারে বরুণদেব। ধারাপাতের ধারা অব্যাহত হতে পারে নবমী-দশমী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে রয়েছে পুজোর মধ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, পঞ্চমী থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হবে। ষষ্ঠী-সপ্তমী খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তবে অষ্টমীতে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে তিলোত্তমা। উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে একটি নিম্নচাপ। তার অভিমুখ দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। এই নিম্নচাপের জেরে, অষ্টমীর দিন উপকূলের জেলা, অর্থাত্, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নবমী-দশমী বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমান।
তবে, উত্তরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আগামী এক সপ্তাহে উত্তর বঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
পুজোয় বৃষ্টির ভ্রুকুটি। জমা জল রুখতে তত্পর কলকাতা পুরসভাও। কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে সব ঠিক থাকবে। খুব বেশি বৃষ্টি হলে শহরের রাস্তায় জল জমতে পারে।
এদিকে, চতুর্থীর দিনই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। দইঘাট, নিমতলা, জাজেশ ঘাট সহ, গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেন পুরসভার আধিকারিকরা। ফিরহাদ বলেছেন,প্রত্যেক বছরের মত ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জনের জন্য হেস্টিংসের কাছে তক্তাঘাটে জল দিয়ে প্রতিমা ধুয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিন বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে ঘাট পরিষ্কারের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার। এরমধ্যে জাজেশ ঘাটে রেললাইনে একটি সমস্যা রয়েছে। দশমীর আগে, তা মেরামত করে দেওয়ার জন্য, পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রেলকে। বিসর্জনের পর গঙ্গা থেকে দ্রুত প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলার জন্য একাধিক ঘাটে থাকছে ক্রেনের ব্যবস্থা।