করুণাময় সিংহ, গাজোল: সম্পত্তি বিবাদের জেরে নিজের বৌদিকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ার সহ দুই দেওরের বিরুদ্ধে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে মালদা জেলার গাজোল থানার রানীগঞ্জ এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম সুমিত্রা ঘোষ বয়স(২৯) বছর।
আক্রান্ত হয়েছেন স্বামী রাজু ঘোষ। অভিযুক্তরা হলেন উজ্জ্বল ঘোষ ও অমিত ঘোষ। উজ্জ্বল ঘোষ গাজোল থানার সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত রয়েছেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই জমি জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ লেগেই রয়েছে। এই নিয়ে গতকাল রাতে শুরু হয় তিন পরিবারের বচসা বাধে।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি-বিবাদের জের, ইট দিয়ে থেঁতলে দিদিকে খুনের অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে
অভিযোগ, বচসা চলাকালীন বাঁশ দিয়ে দাদা রাজু ঘোষ ও বৌদি সুমিত্রা ঘোষকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে সিভিক ভলান্টিয়ার উজ্জ্বল ঘোষ ও তার ভাই অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে।
আক্রান্তদের তড়িঘড়ি স্থানীয়রা শুক্রবার রাতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসা চলাকালীন ভোররাতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুমিত্রা ঘোষের। আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৃত গৃহবধূর স্বামী রাজু ঘোষ।
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার উজ্জ্বল ঘোষ ও অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় খুনের মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক।
শুধু পারিবারিক বিবাদ নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতাতেই গোটা পরিবারকে খুনের ছক করে আসিফ, কালিয়াচককাণ্ডে দাবি পুলিশের
এদিকে, শুক্রবার করোনার ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে এক প্রৌঢ়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের ভাণ্ডারা-বিষণপুরে। মৃতের নাম, আরজাউল হক। বছর ৬৫-র ওই ব্যক্তি এলাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃতের পরিবারের দাবি, করোনার টিকা নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রৌঢ়। অভিযোগ, অসংখ্য মানুষ অপেক্ষা করলেও সিভিক ভলান্টিয়ারের নির্দেশে বেলাইনে টিকা দেওয়া হচ্ছিল।
প্রতিবাদ করলে এক সিভিক ভলান্টিয়ার প্রৌঢ়কে ধাক্কা দেন। পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিত্সকরা।