কলকাতা:  কাল পূর্ণিমার ভরা কটাল। ফের সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা। সেই সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।  


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে, আগামী কয়েকদিন রাজ্য জুড়ে চলবে বৃষ্টি। ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে।


কখনও ঝিরঝিরে, কখনও মুষলধারে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন এমনই চলবে বর্ষার খামখেয়ালিপনা। 
 
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।  


এর প্রভাবেই চলতি সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে প্রায় সব জেলাতেই। দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জেলায় রয়েছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।


বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে। উত্তরবঙ্গ জুড়েও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 


কটালের সময় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত উলুবেড়িয়া ও শ্যামপুরের নদী তীরের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই বান আসার পর থেকে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গা ও রূপনারায়ণের। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে, আশ্বাস পুর-প্রশাসনের।


ইতিমধ্যেই জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গা ও রূপনারায়ণে।  জল ঢুকতে শুরু করেছে উলুবেড়িয়া পূর্বের কালীনগর, হীরাপুরের গঙ্গী তীরবর্তী এলাকায়। ফুঁসে ওঠা নদী ও প্রবল জলস্রোতে, ফিরছে ইয়াস আতঙ্ক। 


পূর্ণিমার ভরা কটালে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় বাসিন্দারা। ফের জলমগ্ন হওয়ার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে উলুবেড়িয়া ও শ্যামপুরের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। 


ভরা কটালের মোকাবিলায় প্রস্তুতি চূড়ান্ত, আশ্বাস প্রশাসনের।  বাসিন্দাদের সতর্ক করতে চলছে মাইকে প্রচার।  


কালীনগর পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মইদুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের সময় ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হয়েছিল। তবে ফের বান আসছে। জল ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। ভরা কটাল নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে আগেই। সেইমতো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। 


উলুবেড়িয়া পুর প্রশাসক অভয় দাস বলেন, সেচমন্ত্রী এসেছিলেন আগে। তাঁর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেই কটাল মোকাবিলার কথা হয়। প্রশাসন প্রস্তুত আছে। জল ঢুকলে বাসিন্দাদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জায়গা তৈরি।


প্রশাসন প্রস্তুত থাকলেও, অমাবস্যার কটাল স্বস্তি দিয়েছিল বাসিন্দাদের। পূর্ণিমার কটালও যেন তেমনটাই হয়, প্রার্থনা নদীপাড়ের মানুষগুলোর।