কলকাতা:  কাঁথি পুরসভার প্রশাসকপদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীর অপসারণ। কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর অপসারণ হল। বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স থেকে অপসারিত সৌমেন্দু। শুভেন্দুর দলত্যাগের পরে সৌমেন্দুকে নিয়ে ‘সন্দেহ’। সন্দেহের জায়গা তৈরি হওয়াতেই অপসারণ, বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।


উল্লেখ্য, শুভেন্দুর দলত্যাগের পর কাঁথিতে তৃণমূলের জনসভায় অধিকারী পরিবারের কাউকে দেখা যায়নি।
শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্য দল না ছাড়ায় কটাক্ষ করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই কটাক্ষের জবাবে শুভেন্দু টিটাগড়ে এদিন বলেছেন, ভাইপো বলছে, লজ্জা করে না বাড়িতে ফোটাতে পারনি। আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে ঢুকেও পদ্ম ফোটাব’।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শুভেন্দুর নীচতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ওর ঔদ্ধত্য খুব বেশিদিন থাকবে না। ওর কান্নার সুর বেরোবে।

শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী কাঁথির তৃণমূল সাংসদ ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি। শুভেন্দুর এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। আরেক ভাই সৌম্যেন্দু কাঁথির পুরসভার প্রশাসক। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিলেও তাঁরা এখনও দলবদল করেননি।তেমনি তাঁদের বিগত বেশ কিছুদিন তৃণমূলের কর্মসূচীতেও দেখা যায়নি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মেদিনীপুরের জনসভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন। তোলাবাজ ভাইপো বলেও কটাক্ষ করেছেন। পাল্টা তৃণমূল তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে সরব হয়েছে। এরইমধ্যে শুভেন্দুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তৃণমূল ছাড়বেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। তৃণমূলে কাঁথির সভায় শিশির অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি। কিন্তু পায়ের সমস্যার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে জানিয়েছিলেন। এরইমধ্যেই শুভেন্দু ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর পরিবারের লোকেরা পদ্মফুট ফোটাবে। তাঁর এই মন্তব্যের মধ্যেই সৌমেন্দুকে পুর-প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল শিবির  এখন পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী-পরিবার বিরোধী নেতা অখিল গিরিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। আগামী ৭ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত সভা অখিলের অসুস্থতার জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।