কলকাতা: দলবদল ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির টানাপোড়েন। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি লকেট ও কল্যাণের। বাবুলকে তৃণমূলে আহ্বান জীতেন্দ্র তিওয়ারির। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়ও।
কথায় বলে, রাজনীতি সম্ভাবনার খেলা!স্নায়ুর লড়াইয়ে যে বেশিক্ষণ টিকতে পারবে, জয়ী সেই!আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী! আরেক তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা চলছে!! বেসুরে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক! এই প্রেক্ষাপটে দলবদল নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি টানাপোড়েন।একই জেলার দুই সাংসদ!কিন্তু, দু-জন দুদলের।একজন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যজন, শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুজনেরই দাবি, দলবদলের জন্য পরস্পর-পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, কল্যাণ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, পরে দেখবেন উনিও বিজেপিতে আসছেন।
এর জবাবে কল্যাণ বলেছেন, ২০২১-এ মমতাই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ২০২৪-এ ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য লকেট তৃণণূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
আরেক জেলা পশ্চিম বর্ধমানেও দলবদল নিয়ে তর্জায় জড়িয়েছে তৃণমূল-বিজেপি!
আসোনসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
আসনসোলের পুর প্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
দলবদল নিয়ে পরস্পরকে নিশানা করেছেন দুজন। জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, বাবুল সুপ্রিয় ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন বিজেপিতে ভালো লাগছে না, বাঙালি কালচার নেই।বাবুলকে জানাই, তৃণমূলে আসুন...আপনাকে স্বাগত জানাই। এর জবাবে বাবুলের কটাক্ষ, এঁরা ছোট-খাটো নেতা, কী বলছেন, তার সত্যতা নেই। একেবারেই ভিত্তিহীন কথাবার্তা।


সবমিলিয়ে ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই সব পক্ষই দলবদলের জল্পনা উস্কে দিতে চাইছে।