অরিন্দম সেন, করুণাময় সিংহ: কোথাও স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। কোথাও আবার ধর্মঘটীদের ধমক দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিলেন প্রধানশিক্ষিকা। 


করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর, শুক্রবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয়েছে সশরীরে ক্লাস। আর এদিনই ছাত্র-যুবদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামেরা। ধর্মঘট সমর্থন করেছে কংগ্রেস। স্কুল খোলার দিনই, স্কুল বন্ধের দাবি জানান ধর্মঘটীরা। এদিন সকালে, স্লোগান দিতে দিতে শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুলে ঢুকে পড়েন এসএফআই সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বের করে দেন প্রধান শিক্ষিকা। 




শিলিগুড়ি গার্লস হাই স্কুল প্রধান শিক্ষিকা অত্যুহা বাগচি বলেন, এতে পড়ুয়াদের মনোবল ভেঙে যাবে ৷ অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হাই স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন এসএফআই-এর সদস্যরা। স্কুলের গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয় দলের পতাকা। এতদিন পর স্কুলে এসে ফিরে যান পড়ুয়ারা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 


উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে কিছু পড়ুয়া ফিরে যান। তবে, কিছু পড়ুয়া স্কুলেও ঢোকেন। স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘ধর্মঘটীদের আমরা শুধু অনুরোধ করেছি। তাতে অনেকে ফিরে যাচ্ছেন ৷’’


মালদার চাঁচলেও স্কুল খুলতে বাধা দেন ধর্মঘটীদের। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউটের পড়ুয়াদের। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। হুগলির চুঁচুড়ার দেশবন্ধু বয়েজ স্কুলেও পড়ুয়াদের ঢুকতে বাধা দেন বামপন্থী ধর্মঘটীরা। শেষমেষ বাড়ি ফিরে যান পড়ুয়ারা।