কলকাতা: রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় একগুচ্ছে সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ নেওয়ার পরই তিনি জানিয়ে দেন, করোনা মোকাবিলাকেই তিনি সর্বাধির প্রাধান্য দেবেন।
শপথগ্রহণের পর এদিন সময় নষ্ট না করেই, নবান্নে জরুরি করোনা মোকাবিলা ও নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর, সাংবাদিক সম্মেলনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন।
মমতা জানান, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন। সেখানে তিনি শয্যা সংখ্যা বাড়াতে আবেদন করেছেন। পাশাপাশি, ভ্যাকসিনের জোগান বাড়াতেও আবেদন করেছেন। একইসঙ্গে, চিঠিতে তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির লাগবে প্রতিদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিদিন ২ লক্ষ ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বলেন, ডোজের সংখ্যা নগণ্য। তাঁর অভিযোগ, আমাদের অক্সিজেন নিয়ে চলে যাচ্ছে ইউপি, অন্যান্য রাজ্য। আমাদের অক্সিজেন আমাদের থাকা উচিত। তিনি বলেন, কারোর মৃত্যু হলে কোভিড হয়েছে কি না চিহ্নিত করতে সময় লাগছে।
এক ঝলকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা--
- ‘কাল থেকে সব লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে’
- ‘সংখ্যায় অর্ধেক হবে রাজ্য পরিবহণের বাস ও মেট্রো’
- ‘বাসে ও মেট্রোয় ৫০ শতাংশ যাত্রী সর্বাধিক নেওয়া যাবে‘
- ‘বিমানে আসা-যাওয়া করতে গেলে চাই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট’
- ‘মাস্ক সবাইকে আবশ্যিকভাবে পরতেই হবে’
- ‘সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা করছি’
- ‘শপিং মল, রেস্তোঁরা, বার এসব পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বন্ধ’
- ’জরুরি পরিষেবা সব খোলা থাকবে’
- ’হোম ডেলিভারি চলবে, অনলাইন ডেলিভারি সিস্টেমে ছাড়’
- ‘৫০ জনের বেশি কোনওরকম জমায়েত নিষিদ্ধ। যদিও তাতেও প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে’
- ‘সকাল ৭-১০, বিকেল ৫- সন্ধে ৭টা খোলা থাকবে বাজার-দোকান’
- ‘বিমানে আসা-যাওয়া করতে গেলে চাই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট’
- ‘বেসরকারি ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করাতে হবে’
- ‘গয়নার দোকান বেলা ১২ থেকে দুপুর ৩ পর্যন্ত খোলা থাকবে’
- ‘সকাল ১০ থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে’
- ‘কোভিড আক্রান্ত হলে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে ১৪ দিন‘
- ’প্রতিদিন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হবে’
- ‘রাজ্যের অক্সিজেন অন্যরা নিয়ে চলে যাচ্ছে’
- ‘আমরা শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেন, চিকিত্সার জন্য নিচ্ছি’
- ‘মৃতদেহের দ্রুত সত্কারে কয়েক ঘণ্টায় কোভিড চিহ্নিতকরণে অগ্রাধিকার’
- ‘ওষুধ কিনতে আমাদের খরচা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা’
- ‘অক্সিজেন ও ভ্যাকসিন নিয়ে নীতিতে স্বচ্ছতা চাই। কোনও রাজ্য পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না’