কলকাতা: রাজ্যে নিম্নমুখী করোনার দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। কমল মৃতের সংখ্যাও। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃ্ত্যু হয়েছে ৬৯ জনের। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশ।
আজ, বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে টানা শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩৫। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
গতকাল স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩ হাজার ২৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্য হয় ৭৫ জনের। একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত হন ৪৬৫ জন, মৃত্যু হয় ২৩ জনের। কলকাতায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩৭০, ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল মারণ ভাইরাসের জেরে। দুই জেলাতেই একদিনে কমেছে সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা।
রাজ্য সরকারের করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইন মেনে আজ থেকে খুলল বেসরকারি অফিস। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অফিস পৌঁছতে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। অন্যদিকে, আজ থেকেই রেস্তোরাঁ খোলা থাকার সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় ভিড় বাড়ছে ভোজনরসিকদের।
করোনাকে কাবু করতে রাজ্যে এখনও জারি করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। তবে এরইমধ্যে অর্থনীতিকে সচল রাখতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে প্রশাসন। বুধবার থেকে নতুন বিধি মেনে খুলেছে বেসরকারি সংস্থাগুলি। দীর্ঘদিন পরে অফিসগুলিতে আবার আসতে শুরু করেছেন কর্মীরা। সংখ্যায় কম হলেও, ফের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি সকলে। তবে এখনও সাধারণের জন্য চাকা গড়াচ্ছে না লোকাল ট্রেন, মেট্রো, বাসের। নতুন নির্দেশে এদিন থেকেই রেস্তোরাঁ খোলার সময়সীমা বেড়েছে। বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকছে রেস্তোরাঁগুলি।
এদিকে রাজ্যে দু’টি কোভিড হাসপাতল গড়বে কেন্দ্র বলে জানিয়েছে পিএমও। কল্যাণী-মুর্শিদাবাদে ২৫০ বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরি হবে বলে জানানো হয়েছে। পিএম কেয়ার্স থেকে বরাদ্দ হয়েছে ৪১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা, জানাল পিএমও।