কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে (Higher Secondary Examination) এবার বাধ্যতামূলক টেস্ট পরীক্ষা (Test Exam)। এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (West Bengal Council of Higher Secondary Education) সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।


ওমিক্রনের (Omicron) জন্য বাধ্যতামূলক উচ্চমাধ্যমিক টেস্ট? করোনার নতুন প্রজাতির কারণে সিদ্ধান্ত বদল? সংসদ জানিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টে প্রতি বিষয়ে ৫০ নম্বর করে লিখিত পরীক্ষা (Written Exam) হবে। পরীক্ষা শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। পুরনো অবস্থান বদলে সিদ্ধান্ত সংসদের। এদিন সংসদ সভাপতি জানান, “কোনও কারণে উচ্চমাধ্যমিক না হলে টেস্টের নম্বর দিয়েই মূল্যায়ন।’’




করোনা আতঙ্কের জেরে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখতে হয়েছিল শিক্ষাঙ্গন। বেশিরভাগ স্কুল-কলেজেই চলছিল অনলাইনে পড়াশোনা। মারণ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা স্থিমিত হওয়ার পর পরিস্থিতি দেখে গত ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে ফের স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গন খুলেছে। বিভিন্ন কোভিড নিয়মনীতি মেনে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস।


এদিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সবাই যাতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে নেয়, তার জন্য অফিসিয়াল নোটিফিকেশন দেওয়া হল। প্রথমত ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিন স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে একেবারেই সম্পর্ক নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। কোনও পরীক্ষা তাঁদের দিতে হয়নি। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল তারপর পরীক্ষার সঙ্গে আরও কোনও সম্পর্ক নেই। একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষাও দিতে হয়নি। ফলে একেবারে ২ এপ্রিল থেকে যে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে সেটাতে বসত। সেটা এড়ানোর জন্য অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই টেস্ট পরীক্ষার দরকার আছে। দ্বিতীয়ত, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আবার যদি করোনার প্রকোপ বাড়ল, লকডাউনের মতো পরিস্থিতি হল, বা অন্য কোনও কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করতে হল তখন আমাদের কাছে মূল্যায়ন করার জন্য কোনও নম্বর থাকবে না। এই টেস্ট পরীক্ষার নম্বর কিন্তু তখন মূল্যায়নের মাধ্যম হতে পারে।’’


আরও পড়ুন: Gokhale College Student Covid Positive : করোনা আক্রান্ত গোখেল কলেজের এক ছাত্রী, এক সপ্তাহ বন্ধ কয়েকটি বিভাগ