মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কাশ্মীর থেকে বিশেষ ট্রেনে দুর্গাপুরে পৌঁছল ১২ কোম্পানি সিআরপিএফ। 


এদের মধ্যে ২ কোম্পানি নামল দুর্গাপুর স্টেশনে। সেখান থেকে ১ কোম্পানি বীরভূম, ১ কোম্পানি বাঁকুড়ায় যাবে। বর্ধমানে নামবে ১ কোম্পানি সিআরপিএফ, ডানকুনিতে নামবে ৫ কোম্পানি এবং কলকাতা স্টেশনে ৪ কোম্পানি সিআরপিএফ নামবে। 


নিরাপত্তা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে রাজনৈতিক তরজার পারদ।  আর এই প্রেক্ষাপটে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার অনেক আগেই অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণভাবে এদিনই রাজ্যে ঢুকেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, কলকাতায় যে তিন কোম্পানি বাহিনী আসবে তাদের  বিধাননগর, বারুইপুর, ডায়মন্ডহারবার, হুগলি, ব্যারাকপুর, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হবে। 


মূলত এরিয়া ডমিনেশন ও রুটমার্চ করার জন্য এই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে। 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর,  ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্যে চলে আসবে মোট ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর মধ্যে থাকবে সিআরপিএফ, আইটিবিপি, বিএসএফ, সিআইএসএফ ও এসএসবি-র জওয়ানরা। 


শুক্রবার সকালেই বিএসএফ-এর শীর্ষকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। 


এর আগে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে বিএসএফ-এর একাংশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল।


এবার ভোট ঘোষণার আগেই, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি একে অপরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। 


দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, আসুক না কত বাহিনী আসবে। ২০১৬-তেও এসেছিল। কিন্তু ওরা এসে যদি কোনও পক্ষ নেয় তাহলে আমরা ছেড়ে দেব না। এর জন্য আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত আছে। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টিপ্পনি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও আরও বেশি করে খেলা হবে। 


ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার ওপর জোর দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। 


শেষ অবধি ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী কিংবা রাজ্য পুলিশের ভূমিকা কীরকম থাকে, সেদিকেই রাজ্যবাসীর নজর।