কলকাতা: সম্প্রতি, রাজধানী গিয়ে অমিত শাহের বাসভবনে বিজেপিতে নাম লেখান অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রুদ্রনীলকে একহাত নিলেন আরেক অভিনেতা দীপঙ্কর দে। কটাক্ষ করে বললেন, "কার কোথায় গিয়ে পাঁপড় ভাজতে ইচ্ছে করে, সেটা তো আমার দায়িত্ব নয়..গেছে পাঁপড় ভাজতে, যাবে।"
এদিন কলকাতায় তৃণমূল ভবনে ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে শাসক দলে যোগ দিলেন দীপঙ্কর। প্রবীণ অভিনেতার পাশাপাশি একইসঙ্গে যোগ দেন আরেক অভিনেতা ভরত কল এবং প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খানের কন্যা শাওনা।
এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে, দীপঙ্কর জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতা থেকেই যে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বলেন, আমি বহুদিন ধরেই তৃণমূলের স্বপক্ষে আছি৷ কিন্তু শারীরিক কারণে এতদিন সব জায়গায় যেতে পারিনি৷ কিন্তু তৃণমূলের প্রতি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা, দায়বদ্ধতা আছে৷
প্রবীণ অভিনেতার মতে, উনি (মমতা) আমাকে বঙ্গভূষণ, বঙ্গবিভূষণ দিয়ে সম্মানিত করেছেন৷ এটা আমার জীবনের বড় ব্যাপার৷ দীপঙ্কর আরও বলেন, 'আমি যখন দু' বার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলাম, তখন অরূপ বিশ্বাসকে পাঠিয়ে উনি আমার খোঁজখবর নিয়েছেন৷ আমার চিকিৎসার যাবতীয় খরচ সরকার বহন করেছে৷ অতএব আমি বেইমানি করতে পারব না৷ আমি তৃণমূলের সঙ্গেই আছি৷'
দীপঙ্কর মনে করিয়ে দেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সমর্থক। বলেন, কখনও বিজেপিকে সমর্থন করিনি। কোথাও বিজেপির সভা, সমিতিতে আমাকে দেখতে পেয়েছেন?
প্রবীণ অভিনেতা জানান, তাঁর মতে পশ্চিমবঙ্গকে সঠিকভাবে পথনির্দেশ দেখাতে পারবেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর প্রশংসা করে দীপঙ্কর বলেন, সকলে তাঁকে দিদি বলে ডাকেন। আমি বলি উনি 'বঙ্গমাতা'। মা যেমন সন্তানদের পালন করেন, তেমনই রাজ্যবাসীকে পালন করছেন মমতা। তো মায়ের কাছেই যাব।