সমীরণ পাল, বসিরহাট: প্রাণঘাতী হামলার একমাস পর উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের বাড়িতে ফিরলেন ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। 


ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ভোটের মুখে এলাকায় ফিরেই রোড শো করলেন বিজেপি নেতা। গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। 


নিরাপত্তার কড়া ঘেরাটোপ। আগে পিছে ঘুরছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। হাসপাতালে যমে-মানুষে টানাটানির পর ভোট প্রচারে প্রত্যাবর্তন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ সদস্য তথা বিজেপি নেতা ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টারের।


শনিবার প্রথমে বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের মুরারিশা চৌমাথা থেকে ভবানীপুরে ইছামতীর ঘাট পর্যন্ত রোড শো করেন তিনি। মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। 


নদী পেরিয়ে গেলেন হাসনাবাদের বাড়িতেও। ১১ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান সর্বক্ষণ ঘিরে রাখলেন তাঁকে। এদিন হিঙ্গলগঞ্জেও রোড শো করেছেন তিনি। 


গত বছর ১৯ ডিসেম্বর, শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন তিনিও পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। একসময় বসিরহাটের তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর অবশ্য নিজের এলাকায় বেশি থাকছিলেন না। 


গত ১৩ ফেব্রুয়ারি, বসিরহাটে সাংগঠনিক সভা সেরে ফেরার সময় বাবু মাস্টারের ওপর হামলা হয়। গাড়িতে করে কলকাতায় ফিরছিলেন বাবু মাস্টার। চালকের বাঁদিকে বসেছিলেন তিনি। পিছনের আসনে সহযোগী আনোয়ার হোসেন। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসন্তী হাইওয়ের উপর মিনাখাঁর লাউগাছি পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে স্পিড ব্রেকারে গাড়ির গতি কমিয়ে দেন চালক। 


ওই সময় বাইকে করে এসে গাড়ি ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি-বোমা ছুড়তে থাকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। হামলায় গুরুতর জখম হন তিনি। 


কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনেন চিকিৎসকরা। এরপরই তাঁকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্র।


হামলার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনাখাঁর ইটভাঁটা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।