সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা:  বোমা ফাটালেন অভিনেতা চিরঞ্জিত! প্রবীণ অভিনেতার মতে, ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ। তাই বাধ্য হয়েই রাজনীতির মঞ্চে অবতীর্ণ অভিনেতারা।


ভোটের মুখে টালিগঞ্জের অভিনেতাদের নেতা হওয়ার ইচ্ছা বেড়েই চলেছে। একদিকে রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষরা। অন্যদিকে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, শ্রাবন্তী, পায়েল ৷ 


দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। টালিগঞ্জের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কেউ তৃণমূল, তো কেউ বিজেপিতে। ভোটের মুখে গোটা টালিগঞ্জটাই যেন আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছে। তারকাদের কাউকে কাউকে প্রার্থীও করছে তৃণমূল-বিজেপি! 


আর ভোটের মরশুমে তারকাদের নেতা হওয়ার এই প্রবণতাকেই কটাক্ষ করেছেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, ‘‘কোভিডের জন্য ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ, তাই তারকারা রাজনীতিতে যাচ্ছে। পোগ্রাম পাচ্ছে না, সেই কারণে কেউ কেউ হিন্দির দিকে ঝুকছে। তাই বিজেপিতে যোগদান করছে ৷’’


চিরঞ্জিত বাংলা ছবির বড় নাম! কিন্তু, এরইসঙ্গে গত ১০ বছর ধরে তিনি বারাসতের তৃণমূল বিধায়কও! এবার তৃতীয়বারের জন্য তাঁকে একই আসন থেকে প্রার্থী করেছে দল। নিজের রাজনীতিতে আসাকে অবশ্য অন্য চোখে দেখেন তিনি। চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘সুবিধা নেওয়ার জন্য রাজনীতি করি না, আমি তো এসব দেখে রাজনীতিতে আসিনি, ওরা কেরিয়ার হিসেবে দেখছে তাই ৷’’


দিলীপ ঘোষের প্রাক্তন কেন্দ্র খড়গপুর সদরে হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। চিরঞ্জিতের মন্তব্যে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি তিনি। হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেউ বলছে মিঠুন চক্রবর্তীকে বন্দুক দেখিয়ে বিজেপিতে, কেউ বলছেন কাজ নেই বলে বিজেপিতে। আমরা কি ছোট বাচ্চা, যে ললিপপ দেখালেই চলে যাব। যারা এসব কথা বলছে, তাঁরাদেরই হয়ত মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কেউ অন্য দলে নিয়ে গেছে ৷’’


হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ব্যারাকপুরে আবার পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। করোনা আবহে টালিগঞ্জের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা যে খারাপ তা মেনে নিলেও, চিরঞ্জিতের মন্তব্যকে ব্যক্তিগত বলেই দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেছেন তিনি। 


ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী জানান, ‘‘কোভিডের জন্য সত্যিই অবস্থা খারাপ, তবে উনি কী জন্য বলেছেন, তা বলতে পারব না ৷’’ সব মিলিয়ে ভোটের মুখে টালিগঞ্জের তারকাদের বিভিন্ন দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে বিতর্ক আরও দানা বাধল।