কলকাতা:  চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে আদিগঙ্গায় নেমে পার্শ্ব শিক্ষকদের প্রতিবাদকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।


বুধবার সকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মাস্টারমশাইদের নালায় ফেলে দিয়েছেন। কত সমস্যায় পড়লে মানুষ দুর্গন্ধযুক্ত নালায় নামে। গোটা রাজ্যেই শিক্ষকদের এই দুরবস্থা। 


গতকালও দিলীপ ঘোষ এই ইস্যুতে রাজ্যকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, বাংলায় শিক্ষকদের দুর্দশা, মাসের পর মাস ধর্না দিচ্ছেন, দিদিমণি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, রাখতে পারেননি, বিশ্বাসভঙ্গের জন্য এধরনের কাজ হচ্ছে।


গতকাল ১১টা নাগাদ চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে আদিগঙ্গায় আচমকা নেমে পড়েন অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষামিত্রদের একাংশ।


গলা জল ঠেলে এগোতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান।  ভিভিআইপি জোনে পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার এমন মেজাজ দেখে কার্যত হকচকিয়ে যান পুলিশকর্মীরা।


কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা জল থেকে তোলেন পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। 


শিক্ষক ইস্যুর পাশাপাশি, বাম-কংগ্রেস জোট নিয়েও এদিন কটাক্ষের সুর শোনা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতির গলায়। বলেন, এই জোট সাধারণ মানুষের বা কর্মীদের হচ্ছে না, কয়েকজন নেতার অস্তিত্ব রক্ষার জোট হচ্ছে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস হাফ আর সিপিএম সাফ হয়েছে। এবারও দুই দলের একই অবস্থা হবে।


প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ও বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর অবশেষে মঙ্গলবার বাম-কংগ্রেস সমঝোতা চূড়ান্ত হয়। তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াই। আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার পর আলিমুদ্দিনে পাশাপাশি বসে এই বার্তা দেয় বাম-কংগ্রেস। বে জোটে আগ্রহী ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে ক’টি আসন ছাড়া হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।


মুম্বইয়ে মিঠুন চক্রবর্তী-মোহন ভাগবত সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আরএসএস অরাজনৈতিক সংগঠন। আরএসএস প্রধান বহু মানুষের কাছে যান, বাংলার বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে আগেও দেখা করেছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। 


গতকাল সকালে মিঠুন চক্রবর্তীর বাড়িতে যান মোহন ভাগবত। মিঠুন চক্রবর্তীর মাড আইল্যান্ডের বাংলোতে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক হয়। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও মিঠুন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে। 


অন্যদিকে, ভোটের মুখে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব প্রসঙ্গে কটাক্ষ শোনা যায় দিলীপ ঘোষের গলায়। বলেন, বহু নেতাকে সান্ত্বনা পুরস্কার দিয়ে টিঁকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁরা এতবছর ধরে যে দুর্ব্যবহার সহ্য করেছেন, তাঁরা তা এই ললিপপ পেয়ে ভুলে যাবেন না।