কোচবিহার: ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বঙ্গের রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা থেকে জেলায় চলছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে তরজার সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে। 


রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘রবিবাবু (রবীন্দ্রনাথ ঘোষ) জানেন এমনিতেও হারবেন ওমনিতেও হারবেন। যদি তৃণমূলের বাহিনী বেচাল করার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া আছে সবার চাল ঠিক করে দেওয়া হবে। সবাইকে নতুন করে পথ চলা শিখিয়ে দেবে।‘ আবার উল্টোদিকে তৃণমূলের গলাতেও উত্তাপ ছড়ানোর সুর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাহিনী পাঠিয়েও লাভ হবে না।’


রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৮ দফায় বিধানসভা ভোট রাজ্যে। ভোট ঘোষণার পরই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা থেকে জেলায় চলছে বাড়তি নজরদারি।


ভারী বুটের আওয়াজে গম গম করছে গ্রামবাংলা। সোমবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শিলিগুড়ি মহকুমায় আপাতত ২ কোম্পানি এসএসবি এসেছে। বসিরহাটে দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের ভ্যাবলা, টিফা-সহ বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করে আধা সেনা।


কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে রুটমার্চ করার সময়ে পুলিশকর্তাদের মুখে শোনা গেল নিরাপত্তার আশ্বাস। এ পর্যন্ত বসিরহাট মহকুমায় চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এক স্থানীয় বাসিন্দার মতে, ‘‘আগে ভয় পেতাম এখন ভয় কমে গেছে।’’


নানুরের বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন জওয়ানরা। বিভিন্ন এলাকাতেও চলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়।


রুটমার্চ চলল খাস কলকাতাতেও। লেকটাউন থানা এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আস্থা অর্জনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন জওয়ানরা। বাহিনী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলবেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ শুধু চায় নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।