উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম ঘোষ, রুমা পাল:  ফের একবার বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস-সিপিএমকে এক সারিতে ফেলে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'ওদেরকে একটাও ভোট দেবেন না।'


পাল্টা অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী থাকার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে জোটপন্থীরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের মানুষ কিছুই ভুলে যায়নি। কে মন্ত্রী হয়েছিল, কে বিজেপিকে টেনে এনেছে সবাই জানে।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপিকে হাত ধরে কে রাজ্যে এনেছে সবাই জানে। এখন বোতল থেকে ভূত বেরিয়ে পড়েছে, তাই সামলাতে পারছে না। তাই এর ঘাড়ে, ওর ঘাড়ে দোষ দিচ্ছেন। 


পৈলানের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়নের খতিয়ান দিচ্ছেন, তখন পাল্টা ব্যঙ্গের সুর বিজেপির গলায়। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, উনি এত উন্নয়ন করেছেন যে জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে আসছে। শিলিগুড়ির মলেও বাঘ ঢুকে পড়ছে। 


বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ থেকে ফের একবার পিসি-ভাইপো কটাক্ষ করেন অমিত শাহ। আর বিজেপির লাগাতার আক্রমণের মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপির দিকে।


বলেন, অভিষেককে দুর্ঘটনা করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। আজও একটা চোখে দেখতে পায় না অভিষেক। ওর মণি বেরিয়ে এসেছিল। আমি বাড়িতে থাকি তাই জানি কী কষ্ট হয়। হাজরায় যখন আমাকে মারা হয়েছিল, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মাথায় ব্যান্ডেজ দেখে একাই কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করত। স্লোগান দিত, দিদিকে কেন মারলে জবাব দাও। তার জন্যই ওকে রাজনীতিতে এনেছি।


জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পরিবারকে রাজনীতিতে আনলে বিরোধীরা বলবেই। উনি কীভাবে ট্যাকেল করবেন ওনার বিষয়।


পিসি-ভাইপোর পাল্টা বাবা-ছেলে আক্রমণ! দু’পক্ষকেই একযোগে কটাক্ষ করেছে বাম-কংগ্রেস। অধীর বলেন, দুটোই চোর। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। কে বড় চোর, কে ছোট চোর, তা নিয়ে মারপিট করছে। সুজনের বক্তব্য, দিদির ভাইপো প্রীতি ভাল। কিন্তু, রাজ্যের বাকি ভাইপোদের কী হবে? পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় আর থানায় নিয়ে গিয়ে পিঠে দাগ করে দেয়। নিজের ভাইপোকে নিয়ে ভাবতে দিয়ে, বাকিদের বঞ্চিত করার অধিকার আপনার নেই।


সব মিলিয়ে ভোটের মুখে তুঙ্গে রাজনৈতিক বাগযুদ্ধ।