পশ্চিম মেদিনীপুর: ঝাড়গ্রামের সভা থেকে পুলিশ-প্রশাসনকেও একহাত নেন দিলীপ। বলেন, ‘পুলিশ তৃণমূলের তাবেদার হয়ে কাজ করছে। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অকারণে মামলা করছে। ক্ষমতায় এলে একমাসের মধ্যে সব মামলা তুলে নেব। এই অত্যাচারের প্রতিকার করবে বিজেপি।
তিনি যোগ করেন, ‘ভোটের সময় পুলিশকে বুথের কাছে যেতে দেব না। বুথের ১০০ মিটার দূরে বসিয়ে রাখব। ভোট করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভয়ের কিছু নেই।’
তৃণমূল কংগ্রেসের তুমুল সমালোচনা করলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘নতুন বছরে করোনার মতই তৃণমূল চলে যাবে। তৃণমূল সংক্রামক ভাইরাস, অনেক ক্ষতি করেছে। মে মাসের পর তৃণমূল আর থাকবে না।’
রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘লকডাউনে কেন্দ্রের দেওয়া রেশনেও কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের লোকদের দিচ্ছেন, আর কেউ পাচ্ছে না।’
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, দিদির পরিবর্তন হয়েছে, ভাইদের পরিবর্তন হয়েছে। বাংলার কোনও পরিবর্তন হয়নি।’
তাঁর কটাক্ষ, ‘মমতা বলেন জঙ্গলমহল হাসছে, আমরা হাসি দেখি না। জঙ্গলমহল থেকে যুবক-যুবতী অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। আজ জঙ্গলমহলের ভূমিপুত্ররা পরিবর্তন করতে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকারে এলে জঙ্গলমহলের যুবকরা চাকরি পাবে। বাংলার যুবকদের আর বাইরে যেতে হবে না।’
দিলীপের দাবি, ‘বিরসা মুণ্ডার মূর্তি নিয়েও জঙ্গলমহলকে অপমান করেছে। মাওবাদী নেতাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনা হচ্ছে। তাঁদের দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’
তিনি যোগ করেন, ‘জঙ্গলমহলের মানুষকে ফের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। জঙ্গলমহলের মানুষের জন্য কিছু করেননি মমতা।’
তাঁর দাবি, দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৩৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি। বলেন, ‘অখণ্ড মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনেই জিতবে বিজেপি। বাংলায় ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’
তিনি বলেন, ‘বিজেপি গরিবের সরকার, প্রধানমন্ত্রী গরিবের প্রতিনিধি। কেন্দ্র সরকার গরিবের ঘরে ২ টাকা কেজির চাল দিচ্ছেন। শৌচালয় তৈরি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।’