সনৎ ঝা ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী: মিঠুন চক্রবর্তীর ভোটে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এদিন বলেন, "ওনার যদি কোনও আপত্তি না থাকে, তাহলে ভোটে দাঁড় করাব।"


কৈলাসের এই মন্তব্যই জল্পনা উস্কে দিয়েছে।  প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিধানসভা ভোটে দাঁড়াবেন মিঠুন চক্রবর্তী? তিনি কি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হতে পারেন?


এ নিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিনই, ভোটে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি মহাগুরু।


গত ৭ মার্চ মোদির গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেছিলেন, বিজেপিতে আশার আলো দেখছি। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হয়  মিনিস্টার হবেন কি না, তিনি জবাবে বলেন, "হতেই পারি।"


মিঠুনের এই মন্তব্যের পর তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর জল্পনা জোরাল হয়! শনিবার শিলিগুড়িতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। কৈলাস বলেন, মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। উনি ভোটে লড়তে চাইছেন না। তারপরও যদি পার্টি চায়, আমরা কথা বলব। ওনার যদি কোনও আপত্তি না থাকে, তাহলে ভোটে দাঁড় করাব।


তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বিজেপি শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দল। পুরমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, এর আগে ৬ বার দলবদল করেছে। দাঁড়ালে দাড়াবেন, ভোট পাবেন না।


বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে আগামী দিনে মিঠুন চক্রবর্তীকে কী ভূমিকায় দেখা যায়, সেটাই এখন জানতে মুখিয়ে সাধারণ মানুষ। 


৭ মার্চ বিজেপির ব্রিগেডে বাংলা ছবি অভিমন্যুর সংলাপ আউড়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল অভিমন্যু নাগ। মহাভারতের অভিমন্যু চক্রব্যূহ ভেদ করলেও, সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। সেলুলয়েডের অভিমন্যু নন্দীগ্রামের চক্রব্যূহে কী করেন, এখন সেটাই দেখার।