শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে ভোট প্রচারে রাজনৈতিক সৌজন্যতার ছবি! বিজেপি কার্যালয়ে ঢুকে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন তৃণমূল প্রার্থী। পাল্টা অভ্যর্থনা জানালেন বিজেপি কর্মীরা৷
দিন ১৫ পরেই শুরু হবে হাইভোল্টেজ নির্বাচনের প্রথম দফা। তার আগে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। সেই আবহে এবার সৌজন্যতার ছবি!
কোচবিহারের শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়। বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়ে ডাকালিগঞ্জে একটি বিজেপি পার্টি অফিসে ঢুকে পড়েন তিনি! সেখানে বিজেপি কর্মীদের প্রতি নমস্কার করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান গেরুয়া শিবিরের কর্মীরাও। শুভেচ্ছা বিনিময় করতে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে কোলাকুলিও করেন তাঁরা।
কোচবিহারের শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। ওদের দেখে নমস্কার করি। ওরাই করে। আমাকে দেখে হাত নাড়ছিল। আমিও এগিয়ে যাই। শুভেচ্ছা বিনিময় করি। ভোটে সহযোগিতা করতে বলেছি ৷’’
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য নিখিলরঞ্জন দে বলেন, ‘‘এটাই আমাদের সংস্কৃতি। আমরা প্রত্যেকের সঙ্গেই শুভেচ্ছা বিনিময় করি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এতে দোষের কিছু নেই। মানুষের সঙ্গে মানুষের যদি হৃদ্যতার সম্পর্ক না থাকে, তা হলে বিজেপি যে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে সেটা সম্ভব হবে না ৷’’
শীতলকুচিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সিপিএম-এর শুধাংশু প্রামাণিক। এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় শীতলকুচি সহ কোচবিহারের ৯টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে রাজনৈতিক হিংসার কারণে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে কোচবিহার। সেই আবহে লোকসভা ভোটের আগে সৌজন্যতার রাজনীতি নতুন নজির গড়ল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এদিকে, বিজেপির ডিজিটাল রথে লাগানো এলইডি স্ক্রিন। তাতে দেখানো হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির কাজের ফিরিস্তি। কোচবিহারের বিজেপির এই ডিজিটাল রথ রাস্তায় নেমেছে বুধবার থেকে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর।