রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান:  জনসভা হোক বা র‍্যালি।  ভোটের মুখে ‘খেলা হবে’ স্লোগান ঘিরে উত্তেজনায় কাঁপছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। শাসক তৃণমূল হোক বা বিরোধী বিজেপি, উভয়পক্ষের কর্মসূচিতেই শোনা যাচ্ছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। 


কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের কালনায় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান ঢুকে পড়ল সংসারেও। স্ত্রী বললেন, আমার সঙ্গে খেলতে এলে আমি স্বামীর আগে আমি খেলে দেব। সেখানে স্বামীর টিপ্পনী, ওসব আবেগে বলছে। 


পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্যা আরতি হালদার। তাঁর স্বামী সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শঙ্কর হালদার। সাংসারিক কথা বার্তা যা কিছু ওই ঘরের ভিতরেই! বাড়ি থেকে বেরোলেই পুরোদমে দলের কাজে নেমে পড়ছেন আরতি। দেওয়ালে ইতিমধ্যেই লেখাও হয়ে গিয়েছে খেলা হবের স্লোগান।


পিছিয়ে নেই বিজেপিও। ‘খেলতে এলে মানুষ বুঝিয়ে দেবে’ বলে পাল্টা দেওয়াল লিখন করেছে গেরুয়া শিবির। ১৯৮৬ সালে বিয়ে হয় শঙ্কর ও আরতির। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। 


আরতি প্রথম থেকে তৃণমূলে থাকলেও, শঙ্কর ছিলেন গেরুয়া শিবিরে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব আসনে বিজেপির প্রার্থী হন শঙ্কর। কিন্তু ২০১০ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এরপর সম্প্রতি ফিরে গিয়েছেন বিজেপিতে। আর তার সঙ্গে ‘খেলা হবে’ স্লোগান ঘিরে স্বামী-স্ত্রীর তরজাও জমে উঠেছে ভালই।


আর কালনার এই দম্পতিকে নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে দুই দলের জেলা নেতৃত্বও। পূর্ব বর্ধমান বিজেপি সহ সভাপতি অনিল দত্ত বলেন, খেলা হবে। আর সেই খেলাতে শঙ্করই জিতবে। তৃণমূল মহিলাদের দিয়ে নোংরা খেলা খেলছে।


সেখানে কালনা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, শঙ্কর হালদার বিজেপির হয়ে বড় কথা বলছে, কিন্তু নিজের স্ত্রীকেই নিয়ে যেতে পারছে না। অন্যদের ভোট পাবে কী করে।


সব মিলিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগানে ঝড় উঠেছে কালনার এই দম্পতির জীবনেও।