উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও আশাবুল হোসেন, উত্তর দিনাজপুর ও মালদা: 


আজ উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর যাবেন মালদায়। আজ দুপুরে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেবেন দুই দিনাজপুরের তৃণমূল কর্মীরা। 


প্রসঙ্গত, এই দুটি জেলার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে দলের কতটা ক্ষতি হয়েছে, তাও পর্যবেক্ষণ করবেন তৃণমূলনেত্রী। 


রায়গঞ্জ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন মালদায়। ইংরেজবাজারের বিএসএফ ময়দানে সভা করবেন তিনি। গত বিধানসভা ভোটে মালদা জেলায় একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। 


লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল খারাপ ফল করে। মালদা কংগ্রেসের পুরনো দুর্গ, পাশপাশি এখানে নিজেদের জমি তৈরি করছে বিজেপি। 


রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী ভোট তৃণমূলের পক্ষে টেনে আনাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য। 


লোকসভা ভোটের নিরিখে যে সব জায়গায় তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে সেখানেই দলের হাল ধরতে দৌড়চ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় যোগ দেবেন তৃণমূল নেত্রী। 


সভায় থাকবেন দুই দিনাজপুরের তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা। সভাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পাশে মাইক লাগানোয় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। 


এক সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। উত্তর দিনাজপুর বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি বলেন, তৃণমূলের মানুষের অসুবিধা নিয়ে চিন্তিত নয়, মেডিক্যাল কলেজে প্রচুর রোগী রয়েছেন, তাদের অসুবিধার কথা না ভেবেই এতো মাইক লাগানো হয়েছে, আসলে সার্কাস পার্টি হয়ে গেছে তৃণমূল।


উত্তর দিনাজপুর কংগ্রেস কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ বলেন, মেডিক্যাল কলেজের পাশে কোনওভাবেই মাইক লাগিয়ে সভা করা উচিত নয়, সব জেনেও প্রশান কেন অনুমতি দিল? বিনাশকালে তৃণমূলের বুদ্ধিনাশ হয়েছে।


যদিও মাইক-বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, এসবই বিরোধীদের অপপ্রচার, স্টেডিয়ামের ঘেরা জায়গায় সভা হচ্ছে সব নিয়ম মেনে। রোগীদের কোনও অসুবিধা হবে না, মেডিক্যাল কলেজের ঢিল ছোড়া দূরত্বে অমিত শাহ সভা করেছিলেন, তখন কেন বিজেপি চুপ ছিল?


দলীয় নেতৃত্ব বহুবার হস্তক্ষেপ করলেও, তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরীর বিবাদ বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা কার্তিক পাল।  একুশের মহারণের আগে নেত্রী কী বার্তা দেন তা নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে তৃণমূলের নেত্রী, কর্মীদের।