সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রাতে জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে বোমাবাজির ঘটনায় এক মহিলা ও কিশোর-সহ ৩ জন জখম। আহতদের একজন ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আজ সকাল থেকে থমথমে জগদ্দল এলাকা। সকালে ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এলাকা ঘুরে দেখেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ ও জয়েন্ট সিপি ধ্রুবজ্যোতি দে।
বোমাবাজির ঘটনা ঘটে গতকাল রাতে। অর্জুন সিংয়ের দাবি, তিনি বাড়িতে ঢোকার সময় ঘোষপাড়া রোডের মেঘনা মোড়ে বোমাবাজি শুরু হয়।
হামলার নেপথ্যে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপি সাংসদের দাবি, রাতে এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটলেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের কর্মীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাতে ঘটনাস্থলে যায় র্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের দাবি, এলাকায় লাগানো সিসি ক্যামেরাগুলি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুমা বামুনিয়াতে ওই ঘটনা ঘটে।
আইএসএফ-এর অভিযোগ, তাদের কর্মীদের মারধর করে যুব তৃণমূল কর্মীরা। প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ অশোকনগর থানা ঘেরাও করেন আইএসএফ কর্মীরা।
রাতে তৃণমূলের ৩ কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, বিনা দোষে তাদের কর্মীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।
তার আগে, গত ১৬ তারিখ, হাবড়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত সোয়া ১১টা নাগাদ বিজেপির হাবড়া উত্তরের মণ্ডল সভাপতি ভাস্কর দাসের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ছোড়া হয়।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, হাবড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই বিজেপি নেতার নেতৃত্বে এলাকায় সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে ভয় দেখাতেই তৃণমূলের মদতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, হাবড়া বিধানসভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা।রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে হাবড়া থানার পুলিশ।