কলকাতা: ১০ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার দিনই, শিরাকোলে সভা করেছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি শওকত মোল্লা। এবার তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।


কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষকের দলীয় কর্মসূচি ঘোষণার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন শওকত। তাও আবার একই দিনে।


আগামী ১৮ জানুয়ারি শোভনের নেতৃত্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে মিছিল করবে বিজেপি। সেদিন বিষ্ণুপুরের শামুকপোতা থেকে বাখরাহাট অবধি মিছিল করবে জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্ব।

এরপর ২৭ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে মিছিল করবেন শোভন। সেদিনই সোনারপুরের কারবালা মাঠ থেকে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ পর্যন্ত যুব তৃণমূলের মিছিল।


এরই মাঝে জয়নগর থানার জামতলা মাঠে, ২৪ জানুয়ারি সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। অর্থাৎ চোখে চোখ রেখে লড়াই!


বিজেপি কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৮ জানুয়ারি - বিষ্ণুপুর থানার কাছ থেকে নিবারণ দত্ত রোড(কার্যালয়) পর্যন্ত পরিক্রমা করব। ২১ জানুয়ারি- দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের রায়দিঘির মথুরাপুর জেলার দায়িত্ব। ২২ জানুয়ারি- উত্তর কলকাতা জেলার কর্মসূচি। বাগবাজার থেকে মহাজাতি সদন অবধি। ২৭ জানুয়ারি - দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পূর্ব) ও যাদবপুর বারুইপুরের পদ্মপুকুর থেকে পার্টি অফিস পর্যন্ত মিছিল।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিধায়ক ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি শওকত মোল্লা জানিয়ে রাখেন, বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না। বলেন, আমাদেরও লাগাতার প্রোগ্রাম আছে, বিজেপিকে ছেড়ে কথা বলা হবে না।


ভোটমুখী বাংলায় মানুষের মন জয়ে তৃণমূল-বিজেপি, দুই তরফেই নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। তা নিয়েও বেধেছে সংঘাত। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল যে যে কর্মসূচি নিচ্ছে, দেখবেন, যখন বিজেপি বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প - আর নয় অন্যায়, কৃষক সুরক্ষা অভিযান, সেসব দেখে নিচ্ছে। বড় রাস্তায় মিছিল করছে। ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তৃণমূলের জন প্রতিনিধিদের যে কাজ ফুটে উঠছে, তারা মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছে না।


পাল্টা শওকত মোল্লা বলেন, মমতা যা উন্নয়ন করেছেন, তাতে মানুষ আমাদের সঙ্গেই থাকবে।


গত ১০ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের শিরাকোলে জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। ওইদিন নাড্ডার যাত্রাপথে সভা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পাওয়া নেতার যাত্রাপথে সভা করার অনুমতি পুলিশ কীভাবে দিয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্কে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে।


এবার বিজেপির কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা যুব তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরেও কি ফের চড়বে সংঘাতের পারদ? আশঙ্কা দানা বাঁধছে।