সুজিত মণ্ডল নদিয়া: এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীর গলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান! 


ভোট-রাজনীতির মঞ্চে কিংবা সরকারি অনুষ্ঠানে শ্রীরামকে টেনে আনার যৌক্তিকতা নিয়ে যখন জোরদার বিতর্ক, তখন নদিয়ার বীরনগরের সভা থেকে বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়ে, সেই 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিই তুললেন ব্রাত্য বসু। একবার নয়, তিন তিনবার।


দিন কয়েক আগে বীরনগরে যে মাঠে সভা করেছিল বিজেপি। শুক্রবার বিকেলে সেই মাঠেই জনসভার ডাক দেয় তৃণমূল।  সেখানেই তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'একুশের নির্বাচনে আমরা ফের সরকার গড়ব। জয় শ্রীরাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হবেন, জয় শ্রীরাম। আবারও আমরা রাজ্যবাসীর জন্য জনমুখী প্রকল্প গড়ব, জয় শ্রীরাম।'


ব্রাত্য বসুর গলায় জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। বীরনগর শহর মণ্ডল সভাপতি সুজন মালা বলেন, মমতা জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনলে রেগে যান। আর তার দলের মন্ত্রী জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিচ্ছেন। তিনি হয়ত ভোটবাক্সে বিজেপিকে ভোট দেবেন। আমাদের ভাবাবেগের জয় শ্রীরামকে তৃণমূল ধার নিচ্ছে।


ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মদিবসের অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলতে ওঠা মাত্র জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়।


যদিও, বিজেপি যে এর মধ্যে কোনও ধরনের অসৌজন্য দেখছে না, উল্টে ভোটের মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এটাকেই তারা অস্ত্র করতে চাইছে, তা বারবারই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।


সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন,  মমতাকে মানুষ রাম কার্ড দেখাবে। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জয় শ্রীরাম হল তোষণের বিরুদ্ধে স্লোগান। এতে মমতার আপত্তি কেন?


এরইমধ্যে পাল্টা বিজেপির দিকে জয় সিয়া রাম বলার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ সম্প্রতি বলেন, আমি ওদের চ্যালেঞ্জ করছি ওরা জয় শ্রীরাম বলুক। কিন্তু ওরা বলবে না। কারণ, আগে সীতা, তারপর রাম। কিন্তু, ওরা মহিলাদের সম্মান করে না, তাই জয় সিয়া রাম বলবে না। 


যে যাই বলুন না কেন, রাজনৈতিক দলগুলির সৌজন্যে অযোধ্যাপতি রাম এখন রাজনীতির ময়দানে নামতে বাধ্য হয়েছেন।