পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল নেত্রী শম্পা দরিপা। গত নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে, পরে, তৃণমূলে যোগ দেন শম্পা। দলত্যাগী নেত্রীকে আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি বামেরা। কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপিও।


প্রথমে মন্দিরে পুজো ৷ এরপর জনতা জনার্দনের দরবারে ৷ জোরদার ভোটপ্রচার শুরু করে দিলেন বাঁকুড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলনেত্রী শম্পা দরিপা। গত বিধানসভা ভোটে, বাঁকুড়া কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন তিনি। এরপর, জোটের হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এবারের ভোটের প্রার্থীতালিকা ঘোষণার আগেই, তৃণমূলের হয়ে প্রচার শুরু করে দিলেন স্থানীয় বিধায়ক। বাঁকুড়া শহরের মহামায়া মন্দির, গণেশ মন্দিরে পুজো দিয়ে, বাড়ি বাড়ি ঘোরেন। এরপর চায়ের আড্ডায় শোনেন অভাব অভিযোগের কথা। 


তৃণমূলনেত্রী ও বিধায়ক শম্পা দরিপা জানান, ‘‘আমরা সব সময় মানুষের সঙ্গে আছি। নতুন করে প্রচার নয়, অনেক আগেই ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছি। এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে সরকার গঠন হবে বলে তিনি আশাবাদী বলে জানান।’’


সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা নেত্রীর প্রচার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার জানান, বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হয়ে জেতা শম্পা দরিপা কি কাটমানি বন্ধ করতে পেরেছেন? এই অবস্থায় কোন উন্নয়ন হয়নি বলে তার দাবি।


দলত্যাগী নেত্রীকে আক্রমণ করেছে সিপিআইএমও। সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র জানান, ‘‘যে কেউ ভোট প্রচার করতে পারে। তবে মানুষের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে যে জনগণের রায়ের সাথে বেইমানি করেছে তাকে যেন কেউ ভোট না দেয়।’’



গত বিধানসভা ভোটে, তৃণমূলের শম্পা দরিপার জয়ের ব্যবধান ছিল ১ হাজার ২৯ ভোট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে, বাঁকুড়ার ২টি কেন্দ্রেই জয়ী হয় বিজেপি। বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে জেলার ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবকটিতেই এগিয়ে বিজেপি। বাঁকুড়া বিধানসভা এলাকায়, তৃণমূলের থেকে, ৪৬ হাজার ৭৭৬ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বাম-কংগ্রেস জোট-প্রার্থীকে দলে টেনে, এই বিধানসভা ভোটে তৃণমূল বাঁকুড়া কেন্দ্র ছিনিয়ে নিতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।