বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভোটের ময়দানের লড়াই পৌঁছে গেল দেওয়ালে। খেলা তো হবেই, কিন্তু, খেলতে পারেবেন তো? নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া ও কাঁথিতে এই দেওয়াল লিখেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, খেলা হবে, ভাঙা পায়েই খেলা হবে। সবমিলিয়ে জমজমাট দেওয়াল যুদ্ধ।


নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে এবার ক্ল্যাশ অফ টাইটানস্! এখানে এবার লড়াই ত্রিমুখী! একদিকে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রয়েছেন বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ময়দানে রয়েছেন সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ও। একে একে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে বিউগল বাজাচ্ছেন যোদ্ধারা। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, ‘‘একুশ মানে একুশের চ্যালেঞ্জ, একুশে খেলা হবে, আমি হব গোলরক্ষক, কারা হারে আর কারা জেতে, আমি দেখতে চাই।’’


পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘‘আমি নন্দীগ্রামের ভোটার। আমি ২০০৩ সাল থেকে নন্দীগ্রামে কাজ করছি। আমি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র। আপনাকে হারাবই।’’ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘চোর-জোচ্চরদের সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষের লড়াই...৷’’


বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রণভূমিতে অবতীর্ণ হয়ে শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী! এদিনই, মনোনয়ন জমা দেন মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ও! এগরার মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ছে এই দেওয়াল লিখন...বিজেপির তরফে লেখা হয়েছে, ‘খেল তো হবেই, কিন্তু, খেলতে পারেবেন তো?’ নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায়, মুখ্যমন্ত্রীর ভাড়া বাড়ির এলাকাতেও বিজেপির তরফে একই ধরনের দেওয়াল লেখা হয়েছে।


বুধবার, নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন পরে, শুক্রবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তাঁরই পুরনো সৈনিক। তার আগে, এদিন হলদিয়ার মঞ্জুশ্রীর ক্ষুদিরাম মোড়ে জনসভা করেন তিনি। সেখান থেকেই পুরনো অস্ত্রে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী।


পাল্টা, তৃণমূলের তরফে এগরার বিভিন্ন জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘খেলা হবে, ভাঙা পায়েই খেলা হবে...’ সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামে তুঙ্গে ভোটের উত্তাপ।