মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান:  তাঁর বাগ্মিতা, শব্দের প্রতি দখল ছিল অননুকরণীয়। ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রথম সভাপতি অটলবিহারী বাজপেয়ীর দল বাংলায় ক্ষমতা দখলের জন্য অলআউট আক্রমণে নেমেছে। রাজ্যের মন পেতে খোদ প্রধানমন্ত্রী থেকে অমিত শাহের মতো কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রীরা চষে বেড়াচ্ছেন বাংলার অলি-গলি।


মানুষের কাছে বিজেপির কথা পৌঁছে দিতে দরকার সুবক্তার। যাঁর কথা দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে শুনবে মানুষ। এমনই নেতা খুঁজতে বিজেপির রাঢ়বঙ্গে জোনের উদ্যোগে দুর্গাপুরে শুরু হল প্রশিক্ষণ শিবির।  বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, পাঁচটি বুথ নিয়ে আমাদের শক্তিকেন্দ্র, পথসভাগুলিতে কী বক্তব্য রাখবে তা ঠিক করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 


দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম নিয়ে বিজেপির রাঢ়বঙ্গ জোন। লোকসভা ভোটের নিরিখে এই পাঁচটি জেলার ৫৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩৮টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি।


আরও পড়ুন


উদ্বোধনে স্থানীয় কাউন্সিলরকে না ডাকার অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানে বিবেকানন্দের মূর্তি শোধন করল বিজেপি


নবান্ন দখলের লক্ষ্যে রাঢ়বঙ্গ জোন থেকে আরও বেশি আসনের টার্গেট নিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাঢ়বঙ্গ বিজেপি পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাঢ়বঙ্গে ধরাশায়ী হবে তৃণমূল, সেই লক্ষ্যে সুবক্তা তৈরি করে আমরা পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরব।


ভোটের মুখে বিজেপির এই কৌশলকে অবশ্য গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের শাখা থেকে সব সংগঠন আমাদের তৈরি আছে, প্রচারে ওরা বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছে প্রচারে, ওদের উন্নয়ন মানে নিজের নামে স্টেডিয়াম তৈরি করছে। 


বক্তা তৈরির স্ট্র্যাটেজি বিজেপিকে ডিভিডেন্ড দেয় কি না তার উত্তর মিলবে ভোটের ফলে।