গোপান চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁদের সঙ্গে আগে কথা বলা উচিত ছিল। ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল দলের। আবার একইভাবে,  দলত্যাগীদেরও দায়িত্ব ছিল দুঃসময়ে পাশে থাকার। এমনটাই মনে করেন শতাব্দী রায়। 


বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘যারা দল ছেড়েছেন, প্রত্যেকই অভিযোগ করেছেন সম্মান পাননি। দলে অসম্মানিত হয়েছেন বলেই দল ছেড়েছেন। এদের সঙ্গে দলের কথা বলার দায়িত্ব ছিল।’ তিনি যোগ করেন, ‘দলত্যাগীদেরও দায়িত্ব ছিল দুঃসময়ে দল না ছাড়ার।’


এদিন, তারাপীঠে পুজো দেন শতাব্দী। সেখান থেকে বেরিয়ে এই মন্তব্য করেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জেলার কর্মসূচিতে কেন নেই তিনি? উত্তরে শতাব্দী বলেন, ‘রাজ্য স্তরের নেত্রী, তাই অন্যান্য জেলায় করছি প্রচার।’


 



 


গত জানুয়ারি মাসে শতাব্দী রায়ের ফ্যান ক্লাবের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট ঘিরেই জল্পনা শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী।


সেই সঙ্গে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনাও প্রকট হয়ে ওঠে। এমনকী, দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনাও গতকাল সকালে উড়িয়ে দেননি বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু তারপরেই সুর বদলে যায় তাঁর।


বিক্ষোভে ইতি টেনে গতকালই দলের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি হন শতাব্দী। 


আরও পড়ুন:


Satabdi Roy Update: বিদ্রোহে ইতি টানার পুরস্কার? তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি হচ্ছেন শতাব্দী


প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "দায়িত্ব পাওয়ায় আমি খুব খুশি। আমি মনে করি, আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমি বরাবরই কাজ করে এসেছি। আগামীদিনে আরও ভালোভাবে কাজ করতে চাই। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। দলে কী কী সুবিধা-অসুবিধা হচ্ছে, তা জানালে দল তা শোনে, এটাই তার প্রমাণ। হয়ত আগে সঠিক জায়গায় যেতে পারিনি বলেই সমস্যার সমাধান হয়নি।"