পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী- দক্ষিণ কলকাতার ৩-৪টে লোকের হাতে যাবতীয় মন্ত্রিত্ব। আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? দাঁতনের সভায় প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু বলেন, এই প্রশ্ন উত্তর কলকাতারও তোলা উচিত। এই লড়াই গ্রামের সঙ্গে, জেলার সঙ্গে শহরের লড়াই। আমাকে দিয়ে কাজ করিয়েছে আর ঘাড়ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জেলার লোক আমি, মাথায় বুদ্ধি আছে। নেতাইয়ে গিয়ে লাশ আমি কুড়িয়েছি। তৃণমূলের লোকেদের প্রতি হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ১৫ মে-র পর আমাদেরকেই ফোন করবেন। এমন ব্যবহার করবেন না যাতে ফোন সুইচ অফ করতে হবে।

তাঁর কথায়, ২০১১ সালে তৃণমূলে এসে বড়বড় কথা বলছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সভায় ভিড় দেখে বলছে ৫০০ লোক হয়েছে। ওটা বিজেপির কর্মী সম্মেলন ছিল, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ডাকলেও ১০ হাজার লোক হয়। ‘কী করে অভিষেক ডায়মন্ডহারবারে জিতেছিলেন বাংলার মানুষ জানে। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা কেউ ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই দিতে পারেনি, মানুষ ভোট দিতে পারেননি, বুথ আগলে বসে ছিল জেহাদিরা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে অভিযোগ করেছেন, তার জবাব দিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, সংসদে গেলে সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা হয়। মোদিজিকে রাজ্যটা না দিতে পারলে রাজ্যটা বাঁচবে না। বাংলা ও দিল্লিতে একই দলের সরকার চাই। পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটি, বিজেপির দুর্জয় ঘাঁটি, ইসবার দোসো পার।  বক্তব্য শেষ করেছেন তিনি।