কলকাতা: অব্যাহত নবান্ন-রাজভবন সংঘাত। এক ঝাঁক আইপিএস অফিসারের নাম উল্লেখ করে রাজ্যপালের ট্যুইট, পছন্দের আইপিএস হলেই অবসরের পর তাঁদের ভাল জায়গা দেওয়া হচ্ছে,আর যাঁরা অপছন্দের তাঁদের কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক, ট্যুইট রাজ্যপালের। রাজ্যপালের ট্যুইটকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।


দু’দিন আগে রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দেন, ‘কয়েকজন আমলা সরকারি চাকুরে না হয়ে, রাজনৈতিক কর্মী হচ্ছেন। ২১ জন এমন আমলার নাম তালিকাভুক্ত করেছি। এই গোপন তথ্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেব।’ এবার সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রকাশ করলেন নামের তালিকা। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ১৯ জন পুলিশকর্তার তালিকা প্রকাশ করে রাজ্যপালের তোপ, ‘প্রশাসনের পক্ষে এ এক বিপদসঙ্কেত এবং উদ্বেগজনক। অপছন্দের পুলিশকর্তাদের কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। আর পছন্দের আইপিএস হলেই অবসরের পর তাঁদের ভাল জায়গা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন। রাজনৈতিক বদান্যতায় এই ধরনের সরকারি কর্মীদের মানুষের করের টাকায় বেতন দেওয়া হচ্ছে। অথচ এঁরা কমিশন আর ফাঁকির ওপরই যেন দায়বদ্ধ।’

রাজ্যপালের এই ট্যুইট প্রসঙ্গে তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য, উনি ভুলে যাচ্ছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছর তাঁর সেক্রেটারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নৃপেন্দ্র মিশ্র বলে একজনকে রিটায়ার্ড অফিসারকে, বাংলায় যে অফিসাররা রয়েছেন তারা ভাল কাজ করছেন যারা অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তারাও ভালো কাজ করছেন জগদীপ ধনকর কি বললেন তাতে কিছু এসে যায় না।’

প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। মুকুল রায় বলেছেন, ‘উনি ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যরিস্টার, সম্মাননীয় ব্যক্তি।’

এর আগে রাজ্যের একাধিক পুলিশ আধিকারিকের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজটা কি? অবসরের পর কেন তাঁকে সুবিধা দেওয়া? এডিজি আইনশৃঙ্খলা থাকার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত।’

বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন জগদীপ ধনকড়। এবার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ পুলিশ আধিকারিকদের নাম সামনে এনে সুর আরও চড়ালেন রাজ্যপাল।