নয়াদিল্লি: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। এই মামলায় ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে গেল শুনানি। আগামী শুনানিতে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, জানিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত।


ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। গত ১৯ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে খুন-ধর্ষণের মতো মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।  চলতি মাসের গোড়ায় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতের  দ্বারস্থ হয় রাজ্য।


বিচারপতি বিনীত সরন ও বিচারপরি অনিরুদ্ধ বসু সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নথিপত্র জমা দেওয়া  প্রাক-শুনানির সমস্ত প্রক্রিয়া আগামী শুক্রবারের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে বলেছেন। আদালত এই মামলায় চূড়ান্ত শুনানি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মামলায় হরিশ সালভে, মহেশ জেঠমালানির মতো সংশ্লিষ্ট পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী ক্যাভিয়েটের শুনানিতে হাজির ছিলেন। সংক্ষিপ্ত শুনানিতে  আইনজীবী কপিল সিব্বল তাঁর সাবমিশনে জানান যে, খুনের মামলাগুলির একটির শিকার জীবিত রয়েছেন।  নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর বিচারপতি বসু জানতে চান, সিবিআই ও বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তদন্ত, না অনুসন্ধান করছে। 


সিব্বল  জানান যে, সিবিআইকে খুন ও ধর্ষণের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য মামলাগুলির তদন্তভার এক বিচারপতির পর্যবেক্ষণে সিটকে দেওয়া হয়েছে। এই সময় বিচারপতি সরন সিব্বলের কাছে জানতে চান, সাবমিশন দিতে তাঁর কত সময় লাগবে। এই প্রশ্নের জবাবে সিব্বল বলেন, দুই-তিন ঘণ্টা। 


এরপর বিচারপতি সরন বলেন যে, কোনও বিরতি ছাড়াই অন্য কোনও দিন ধারাবাহিক শুনানি হলে ভালো হবে। এরপর সমস্ত পক্ষ ২৮ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সম্মত হয়।  গত ১৩ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিযুক্ত কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিল। 


উল্লেখ্য,  ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গত ১৮ জুন এই মামলায় হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। গত ১৩ জুলাই কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। রিপোর্টে  রাজ্য সরকার, পুলিশ ও প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করা হয়। পাল্টা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টকে মিথ্যে, পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।


ভোটের ফল বেরোনোর পর রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত কমিটি। যার নেপথ্যে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল।