দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দেশে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। রাজ্যে রাজ্যে গণচিতার ছবি হাড় হিম করে দেয়।
তা সত্ত্বেও করোনা সতর্কতা সম্পর্ক বহু মানুষ উদাসীন। সাধারণ মানুষের হুঁশ ফেরাতে ও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে জায়গায় জায়গায় অভিযান চালাল পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে নরমে গরমে এক অভিনব পন্থা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার পুলিশ।
মাস্ক পরলে মিলছে লজেন্স। না পরলে পিঠে পড়ছে লাঠির বাড়ি। অর্থাৎ, যাঁরা মাস্ক পরে রয়েছেন, তাঁদের দেওয়া হচ্ছে লজেন্স। আর মাস্ক না পরে থাকলে লাঠির বাড়ি।
গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ক্যানিং থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুলিশের অভিযান। পাশাপাশি, করোনা সতর্কতা নিয়ে লিফলেটও বিলি করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, নিউ টাউনে কেষ্টপুর বাজার এলাকায় পুলিশের অভিযান চলে। মাস্ক না পরার কারণে ৮ জনকে গ্রেফতার করল নিউ টাউন থানার পুলিশ।
বাজারে দেখা যায়, অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। পুলিশ দেখে অনেকে তাড়াহুড়ো করে পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরছেন, এই দৃশ্যও দেখা গেল।
এদিন ওই এলাকায় করোনা সতর্কতা নিয়ে মাইকে প্রচারও করে পুলিশ।
কোথাও আবার করোনা সচেতনতায় পুলিশের লাঠি হাতে বাজারে বাজারে ঘুরলেন খোদ বিডিও। রবিবার, কাশীপুর থানার ওসিকে সঙ্গে নিয়ে লাঠি হাতে অভিযান চালান ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও।
পথচলতি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক, স্যানিটাইজার। মানুষের হুঁশ ফেরাতেই লাঠি হাতে অভিযান, দাবি বিডিও-র।
রবিবার থেকে চালক-কন্ডাক্টর ও যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। জানিয়ে দেওয়া হয়, মাস্ক না পরলে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হবে না।
মানুষের মধ্যে মাস্ক-সচেতনতা গড়ে তুলতে বেশ কয়েকদিন ধরে কলকাতা থেকে শুরু করে হাওড়া ও বিভিন্ন জেলায় প্রচারাভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
মাইকিং থেকে শুরু করে জরিমানা ও আটক-- সব পন্থাই অবলম্বন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।