কোচবিহার: রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। দিনহাটায় আক্রান্ত প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। হাত ভেঙে যায় উদয়ন গুহর। তাঁর বুকে ও পিঠেও চোট লেগেছে। মারধরের জেরে  উদয়ন গুহর এক নিরাপত্তা রক্ষীরও মাথা ফেটে যায়। 


আজ সকালে দিনহাটা বয়েজ ক্লাবের সামনে হামলা চালানো হয়। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি। 


ভোট মিটেছে। ফল বেরিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক হিংসা থামছে না। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখনও আসছে বিভিন্ন অশান্তির খবর। 


তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ ঘিরে এদিন রামপুরহাটের তিলাই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আহত হন উভয়পক্ষের ১০ জন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের সমর্থকদের গ্রাম থেকে বেরোতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষ বাধে। হামলা-যোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের এক কর্মীকে মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। গন্ডগোলে জড়িত সন্দেহে দু’ পক্ষের ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বালিচক গ্রামে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন। পুড়ে যায় আসবাব ও নথি। গতকাল রাতে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস চলছে। তার প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে। তবে পার্টি অফিসে কীভাবে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয় বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে। বিজেপির তোলা সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল ফুলগেড়িয়া গ্রামে বিজেপির নারায়ণগড় মধ্য মণ্ডলের সম্পাদক হরিদাস ভুঁইয়ার বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ভোটে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ায় তৃণমূলই পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপি নেতার অভিযোগ। যদিও তৃণমূলের দাবি, নির্বাচনী খরচ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। 


রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। দিল্লি ফিরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট জমা দেবে এই প্রতিনিধিদল। 


পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালকে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।