সোমনাথ দাস, ঘাটাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিনেশনে বেনয়িমের অভিযোগ তুলে সরব হল বিজেপি। তৃণমূলের নাম না করে, ঘাটালের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, কিছু নেতার সুপারিশ মতো ভ্যাকসিনেশন চলছে হাসপাতালে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল সুপার। বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে কেন্দ্রকে লাগাতার নিশানা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৫ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভ্যাকসিন আমাদের প্রয়োজন ১৪ কোটি। আজ পর্যন্ত পেয়েছে ২.১২ কোটি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে কম টিকা পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।বিতর্কের এই আবহে রাজ্যের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন বণ্টনে বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূলের নাম না করে তাঁর অভিযোগ, কিছু নেতার সুপারিশ মতো ভ্যাকসিনেশন চলছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে।


ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, মহকুমা হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে চরম দুর্নীতি চলছে, নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির সুপারিশে দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন, রাত জেগে লাইন দিয়েও পাচ্ছে না অনেকে ভ্যাকসিন। অধিকাংশ সময়ই মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক। ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে বিধায়কের ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি হাসপাতাল সুপার।  


ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের সুপার সম্রাট রায়চৌধুরী বলেন, এরকম কোনও কথা বলেননি। কি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে,  কাদের দেওয়া হচ্ছে তা জানতে চান। রিকোয়েস্ট তো অনেকই আসে। কিন্তু কোনও বেনিয়ম হয়নি। এসডিও সাহেব যাঁদের পাঠান, তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ড্রাইভার ইউনিয়ন, গর্ভবতী মহিলা, এদের দেওয়া হচ্ছে।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় গোটা দেশ। এর মধ্যেই ভারতে করোনায় ফের বাড়ল দৈনিক মৃত্যু। সেইসঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আবার পৌঁছল ৩৯ হাজারে। এই প্রেক্ষিতে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিনেশনে বেনয়িমের অভিযোগ তুলে সরব বিজেপি।


এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ককে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, বিজেপির বিষয়টা হচ্ছে, গাঁয়ে মানে না, আপনিই মোড়ল। শীতল কপাটের জানা উচিত কেন্দ্র কতটা বঞ্চনা করছে রাজ্যকে ভ্যাকসিন নিয়ে। তৃণমূলের সুপারিশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সঠিক কথা নয়। ওদের তো জনসংযোগই নেই। উনি যেভাবে স্বাস্থ্য আধিকারিককে ধমকাচ্ছেন, জনগণ যেদিন ধমকাবে উনি বুঝতে পারবেন।