বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে এটিএমে টাকা ভরার গাড়ি থেকে লুঠের চেষ্টার অভিযোগ। আজ সকালে বেসরকারি সংস্থার টাকা নিয়ে যাওয়ার গাড়ি ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীদের গুলি। আহত হন ২ কর্মী।
আশপাশের লোকজন ছুটে আসায় পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে দাবি, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা হবে।
সাতসকালে বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের হানা। জনবহুল এলাকায় বেসরকারি সংস্থার গাড়ি থেকে ব্যাঙ্কের টাকা লুঠের চেষ্টার অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত ২ কর্মী। হুবহু যেন ক্রাইম থ্রিলারের দৃশ্য।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুরের গোলবাজারের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শাখা থেকে টাকা তুলে এটিএম-এ ভরতে যাচ্ছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।
সবে চারজন কর্মী গাড়িতে টাকা রেখেছেন, এমন সময় তাঁদের গাড়ি থেকে টাকা লুঠের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। আচমকাই যেন মাটি ফুঁড়ে উদয় হয় চার দুষ্কৃতী।
প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। মুখে মাস্ক। বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের দাবি, বিপদ বুঝে তাঁরা গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা প্রথম গাড়ির দরজা খুলতে বলে। দরজা না খোলায় চালকের জানলার কাছ থেকে গাড়ির ভিতরে জালের ফাঁক দিয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। আহত হন ২ কর্মী। মোট চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
আহত নিরাপত্তারক্ষী মুথুর মোহন রাই বলেন, আমরা টাকা নিতে এসেছিলাম. তিন চারজন টাকা ছিনিয়ে নিতে আসে। তখন আমি বন্দুক বার করতেই আমাকে গুলি করে। চার রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। আমার পায়ে লেগেছে। আমার পাশে যে ছিল তারও পায়ে লেগেছে।
আহত কর্মী সোমনাথ সরকার বলেন, টাকা যেই গাড়িতে তুলেছি, তখনই বাইরে ফায়ারিংয়ের আওয়াজ হয়। জানলার পাশে এসে বাইরে বেরোতে বলে। আমরা দরজা লাগিয়ে দিই। তখন চালকের আসনের কাছ থেকে গুলি চালিয়েছে। তাও টাকা দিইনি। আমার পায়ে গুলি লাগে।
গুলির শব্দ শুনে ছুয়ে আসেন আশপাশের লোকজন। তখন দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খড়গপুর টাউন থানার আইসি জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে এলাকার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।