বিশ্বজিৎ দাস, খড়্গপুর: স্থায়ীকরণ, ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবিতে খড়পুরের হিজলিতে বন দফতরের ডিভিশনাল অফিসে ডেপুটেশন দিতে এসে ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন সমর্থিত অস্থায়ী বন মজদুর ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার অভিযুক্তদের।


স্থায়ীকরণ, ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার বন দফতরের ডিভিশনাল অফিসে ডেপুটেশন দিতে আসেন বন মজদুর ইউনিয়নের সদস্যরা।


অভিযোগ, জেলা বনপাল (ডিএফও) উপস্থিত না থাকায় অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন সমর্থিত অস্থায়ী বন মজদুর ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে খড়পুরের হিজলির বন দফতরের ডিভিশনাল অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। 


খড়গপুরের বনাধিকারিক জানিয়েছেন, করোনার মধ্যে ডেপুটেশন দিতে আসতে নিধেষ করা হয়েছিল। তবুও ওরা এসে বিক্ষোভ দেখিয়ে ভাঙচুর করেছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


তৃণমূলের বন মজদুর ইউনিয়নের অস্থায়ী বনকর্মী ও সদস্য তরুণ মজুমদার বলেন, কিছুদিন আগে আমরা ডেপুটেশন দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। আমরা আবার জানিয়েছিলাম ডেপুটেশন দেব বলে। কিন্তু, করোনার কথা বলে ডেপুটেশন দেওয়া যাবে না। ডিএফও ছিলেন না।আমরা কিছু ভাঙচুর করিনি, ওরাই করে দোষ দিচ্ছে।


খবর পেয়ে খড়গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসেন বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।


এদিকে, জেলার কেশপুরে প্রকাশ্যে চলে এল শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূলের।


জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী তথা বিধায়ক শিউলি সাহা। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন সভানেত্রী বদল হবে না।


গত পঞ্চায়েত ভোটে, ৪৪ আসন বিশিষ্ট কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সবকটি আসনে জেতে তৃণমূল। সপ্তাহ দুয়েক আগে, শিউলি সাহার অনুগামী হিসেবে পরিচিত, সমিতির ৩৬ জন তৃণমূল সদস্য দলেরই সভানেত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।


অনাস্থা বিতর্কে, পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বলেছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না, দলের অনুমতি ছাড়া কোথাও কোনও সভাপতি পরিবর্তন করা যাবে না, এখন যে অবস্থায় আছে সেরকমই থাকবে।


কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতি সভানেত্রী শুভ্রা দে সেনগুপ্ত বলেন, আমি কী করেছি দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, দলের হয়ে কাজ করেছি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, কঠিন জায়গায় গিয়ে প্রচার করেছি, দল যা সিদ্ধান্ত নেব তা মেনে নেব।


তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে, তাদের অনুমতি ছাড়া অনাস্থা আনা যাবে না। অনড় শিউলি সাহার অনুগামীরাও। সব মিলিয়ে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব থামছে না কেশপুরে।