পশ্চিম মেদিনীপুর: এবার পশ্চিম মেদিনীপুরেও মনুয়াকাণ্ডের ছায়া। প্রেমিক ও তাঁর দাদার সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ এক মহিলার বিরুদ্ধে। বারাসাত, জলপাইগুড়ি, হাওড়া, চোপড়ার পর এবার বাঘাগেড়িয়া।
মৃতের নাম কান্ত মুর্মু। তিনি মেদিনীপুর সদর ব্লকের বৈষ্ণবচক নিউ সেট আপ প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ, কান্ত মুর্মুর স্ত্রী আদরমণির সঙ্গে কৃষ্ণপ্রসাদ হেমব্রম নামে স্থানীয় এক যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই বচসাও হত। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার রাতে কান্ত মুর্মু বাইকে করে ফিরছিলেন। সেসময় আরেকটি বাইকে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান স্ত্রীর প্রেমিক কৃষ্ণপ্রসাদ হেমব্রম ও তাঁর দাদা ছুকু।
অভিযোগ, কান্তর সঙ্গে কথা বলতে বলতেই তাঁকে ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন কৃষ্ণপ্রসাদ ও ছুকু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কান্তর। প্রত্যক্ষদর্শী লক্ষ্মীপদ মুর্মু বলেন, রাস্তায় কথা বলছিলাম। হঠাৎই চড়াও হয়ে ভোজালি চালায়। স্থানীয়দের দাবি, আদরমণিই প্রেমিক ও তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে তিন অভিযুক্তই পলাতক।
বারাসাতের মনুয়া মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের।তারপর একই অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি, হাওড়াতেও। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় তো স্বামীকে খুনের পর রান্নাঘরে দেহ পুঁতে, তার ওপরই বসবাসের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলার বিরুদ্ধে। এবার তালিকায় জুড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের নামও।