উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরের শুভায়ন পাড়ার বাসিন্দা ভ্রমণ সংস্থার ম্যানেজার অনুপম সিংহর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্পর্কের এই জটিল আবর্তেরই কি খুন অনুপম?


তেমনই অনুমান তদন্তকারীদের।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিত্‍ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে খুন করেছে তার সঙ্গে আড়াই বছরের সম্পর্ক। যে খুন হয়েছে তাঁর সঙ্গে ৫ বছরের সম্পর্ক।

পুলিশের দাবি, প্রায় পাঁচ বছরের সম্পর্কের পর বছর খানেক আগে অনুপমের সঙ্গে বিয়ে হয় মনুয়ার। কিন্তু তরুণী ভুলতে পারেননি প্রেমিক অজিতকে। স্বামী কাজে বেরিয়ে গেলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে কথা হত দু’জনের।

বন্ধুদের কাছে মুনিয়াকে বিয়ে করা নিয়ে আফসোস করতেন অনুপম। এমনটা জানিয়েছেন তাঁর এক বন্ধু।

তাহলে কি কিছু বুঝতে পেরেছিলেন অনুপম? প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন? তাই কি তাঁকে সরিয়ে দিলেন স্ত্রী? তেমনই অনুমান পুলিশের।

তদন্তকারীরা দাবি, স্বামীকে খুনের পর পুলিশকেও বোকা বানানোর চেষ্টার কসুর করেননি মনুয়া। অনুপম খুনের পর তাঁর মোবাইল ফোন ট্র্যাক হতে পারে অনুমান করে কথা বলা কমিয়ে দেন অজিতের সঙ্গে।

পুলিশের দাবি, অজিতের সঙ্গে যখন কথা হত মনুয়ার, তখন বলতেন, তিনি অনুপমকে খুব ভালবাসতেন। স্বামীকে তিনি খুন করেননি। কী করে যে কী হয়ে গেল!

এরপর একদিন মনুয়া অজিতকে ফোনে বলেন,বুকের ওপর থেকে পাথরটা সরে গেল.... ম্যায়নে জীবনসাথী চুন লি হ্যায়...।

পুলিশ জানিয়েছে, এই কথা জানার পরই তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, ঘটনায় হাত রয়েছে মনুয়ার।মঙ্গলবার বারাসত থানায় এনে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে সত্যিটা।

তদন্তকারীদের দাবি, স্বামীর পাশাপাশি প্রেমিকের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিলেন তরুণী।

তারপর, পরিকল্পনা করেছিলেন স্বামীকে সরিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করার।

শেষমেশ, সব শেষ।

এই ঘটনায় গ্রেফতার ২।