পূর্ব মেদিনীপুর: গৃহবধূর হাতে শ্বশুর খুন। তারপর স্বামীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ লোপাটের ছক। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
ঘটনার সূত্রপাত ১৫ জানুয়ারি। অভিযোগ, নিজের পুত্রবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন নিখিল মাইতি। গৃহবধূর দাবি, আত্মরক্ষার জন্য ছুরি দিয়ে শ্বশুরকে আঘাত করেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্বশুরের।
ইতিমধ্যে প্রৌঢ়ের ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, স্বামী বাড়ি ফেরার পর গোটা বিষয়টি তাঁকে জানান স্ত্রী! তখনই প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা!
পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রথমে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কাটা হয় প্রৌঢ়ের হাত-পা! তারপর সেগুলি পাঁশকুড়ায় ছেলের শ্বশুরবাড়ির কাছে পুঁতে দেওয়া হয়। এখানেই থামেনি নৃশংসতা। অভিযোগ, এরপর ছেলে-বৌমা মিলে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভিনরাজ্যের ট্রাকে, প্রৌঢ়ের বস্তাবন্দি দেহাংশ তুলে দেওয়া হয়!
কিন্তু এতকাণ্ড যে ঘটে গিয়েছে তা ঘুণাক্ষরেও কাউকে টের পেতে দেননি ছেলে-বৌমা। উল্টে তাঁরা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। ১৯ তারিখ পাঁশকুড়া থেকে উদ্ধার হয় প্রৌঢ় নিখিল মাইতির দেহাংশ। আঙুল দেখে সনাক্ত করে পরিবার। পুলিশি জেরায় গোটা ঘটনা জানান শ্বশুর খুনে ধৃত পুত্রবধূ বর্ষা মাইতি।
যদিও মৃতের আত্মীয়দের দাবি, সম্পত্তির লোভেই খুন করা হয়েছে প্রৌঢ়কে। মৃতের ছেলে ও বউমাকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।