পূর্ব মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় দিঘায় মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। গ্রামে গ্রামে চলছে প্রচার। কাকদ্বীপ ও বকখালিতেও গ্রামবাসীদের সচেতন করতে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। পাথরপ্রতিমা ও সাগরের বিভিন্ন গ্রামে উদ্ধারকাজের মহড়া দেয় NDRF।


ঠিক এক বছর আগে, সেটাও ছিল একটা বুধবারকৃতির প্রলয় তাণ্ডব দেখেছিল সৈকত শহর দিঘা। সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাস। ঘূর্ণিঝড়ে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সাজানো-গোছানো দিঘা শহর। সামনের বুধবার আরও একটা ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। তার আগে, দিঘার বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে NDRF ও SDRF। গ্রামে ঢুকে সচেতন করা হচ্ছে গ্রামবাসীদের।


রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন চলার কারণে পর্যটক শূন্য রয়েছে দিঘা। খাঁ খাঁ করছে সমুদ্র সৈকত। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় মৎস্যজীবীদের নৌকগুলিকে সমুদ্র থেকে দূরে, বালির চরে বেঁধে রাখা হয়েছে। এদিন, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ, NDRF ও অন্য বিভাগের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রিভিউ বৈঠক করেন। কোভিড পরিস্থিতিতে হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রাখা হচ্ছে জেনারেটরের ব্যবস্থা। 


অন্যদিকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজও শুরু হয়েছে। কাঁচা বাড়িতে হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের, উদ্ধার করে হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমফানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। এবার আরও একটা ঝড়ের ভ্রুকুটি। তার আগে গ্রামে গ্রামে প্রচার শুরু করছে পুলিশ। 


এদিন লঞ্চে করে এলাকা ঘুরে দেখেন সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও-সহ পুলিশ আধিকারিকরা। লঞ্চে করে প্রচার করা হচ্ছে। কাকদ্বীপের পাশাপাশি বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জেও গ্রামে গ্রামে প্রচার ও প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। এদিন, পাথরপ্রতিমা ও সাগরের বিভিন্ন গ্রামে যান NDRF-র আধিকারিকরা সেখানেও উদ্ধারকাজের মহড়া দেওয়া হয়। 


অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোমর বাঁধছে পশ্চিম মেদিনীপুরও। ইয়াস সর্বশক্তি দিয়ে আঘাত হানতে পারে। এমনটা ধরে নিয়েই উদ্ধার ও ত্রাণ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীর তীরে বসবাসকারীদের কাল থেকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হবে।