পশ্চিম মেদিনীপুর:  তরুণ ডব্লুবিসিএস অফিসারের অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। তারপর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা। কেন এই পথ বেছে নিলেন তরুণ অফিসার?


সমেরশ হাজরা। ঝকঝকে যুবক। বয়স মাত্র ৩২। মাস ছয়েক আগেই  ডব্লুবিসিএস অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। কিন্তু, যাঁর সামনে ছিল সফল জীবনের হাতছানি, তিনিই কি না নিজেকে শেষ করে দিলেন।

সমরেশের বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়।৮ জানুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে ট্রেনিং নিতে আসেন।

পরিবারের দাবি, সতীর্থরা জানান ১৮ জানুয়ারি অতিরিক্ত পরিমাণে ঘুমের ওধুষ খেয়ে নেওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন সমরেশ।

তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন সমরেশ।কিন্তু, সোমবার হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।

মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানা এবং হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ জানায় নিখোঁজ ডব্লুবিসিএস অফিসারের পরিবার।

কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর।

অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাদ থেকে ডব্লুবিসিএস অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

মৃতের পরিবারের দাবি, তাঁরা বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কিংবা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো খোঁজার কোনও চেষ্টা করেনি।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।কিন্তু, কেন এক তরুণ অফিসারের এই মর্মান্তিক পরিণতি হল? কি সেই কারণ? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।