বাবা হার্টের রোগী। রবিবার রাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই রাতেই বাবার জন্য ওষুধ আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন মেয়ে। কিন্তু, এই বেরনোই যে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি বছর ছাব্বিশের উত্তর ২৪ পরগনার নিমতার বাসিন্দা এই তরুণী।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১০। হন্তদন্ত হয়ে এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বন্ধুর কাছে ওষুধ আনতে ছোটেন তরুণী। বাড়ি থেকে ১০০মিটার দূরেই রয়েছে একটি পুকুর। সেখানতেই ওঁতপেতে ছিল বিপদ।
অভিযোগ, পুকুর পাড়ে বসে মদ্যপান করছিল ৩-৪ জন যুবক।
সেখান দিয়ে যেতেই তরুণীকে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গে সঙ্গে রুখে দাঁড়ান তরুণী, প্রতিবাদ করেন।
কিন্তু, উন্মত্ত বাহুবলীরা রেয়াত করেনি প্রতিবাদী তরুণীকে। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় মুখ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তরুণীর ওই মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ বন্ধু ও আরেক যবুক।
বাধা দিলে দুই যুবককেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এবিপি আনন্দে সোমবার দুপুর একটায় এই খবর সম্প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রাজকুমার রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারীরা। ধৃতকে জেরা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
শ্লীলতাহানি, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা, হুমকি, ছিনতাই-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
তরুণীর বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। তরুণীর মুখের আঘাত এতটাই গুরুতর যে, ক্ষতস্থানে সেলাই করতে হয়েছে। কিন্তু, মুখের ক্ষত নয় সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাবে, কিন্তু নিজের বাড়ির সামনে, নিজের পাড়ায় যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হল, সেই বিভীষিকা কি ভুলতে পারবেন তরুণী?