দুর্গাপুর: এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মানুষকে পৌঁছে দেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, সামনে দীর্ঘক্ষণ এক সংজ্ঞাহীন যুবক পড়ে থাকলেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি কেউ। একটি ট্রাভেল এজেন্সির অফিস ও গাড়ির চালকদের অমানবিকতায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর।
সোমবার এমনই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দুর্গাপুর।


স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকালে দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়া মোড়ে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে আসেন স্থানীয় যুবক সুখেন বাউড়ি। আচমকা পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারান তিনি।
ঘটনাস্থলের কাছেই একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির অফিস। অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি। কিন্তু অভিযোগ, কোনও গাড়িই ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হননি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘণ্টা খানেক রাস্তাতেই পড়ে ছিলেন সুখেন। খবর পেয়ে বাড়ি লোকের এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
প্রতিবাদে দেহ নিয়ে কুরুলিয়া মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের আত্মীয়-পরিজনেরা।
বেশ কয়েকটি গাড়ি ও ট্রাভেলস এজেন্সির অফিসে চলে ভাঙচুর।

প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ, ভাঙচুর। যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা।
তারপর দুর্গাপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।