দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরে নাবালিকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে প্রথমে গণধর্ষণ, তারপর খুনের চেষ্টার অভিযোগ। গ্রেফতার তিন যুবক।
পরিবারের দাবি, বছর সতেরোর নাবালিকা, এলাকার যে যুবককে দাদা বলে ডাকত, সেই বছর বাইশের অর্ঘ্য দাস মঙ্গলবার ফোন করে দাসপুর মোড়ে নাবালিকাকে ডাকে। সেখানে তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ।
এরপর সে রথতলায়, বন্ধু উৎ‍পল গায়েনের (৩৫) ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে নিয়ে যায়। সেখানে ছিল আরেক বন্ধু তমোজিৎ‍ মিত্র (২২)। পরিবারের দাবি, তিন বন্ধু মিলে জোর করে নাবালিকাকে মদ্যপান করায়। অচৈতন্য হয়ে পড়েলে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।





পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এরই মাঝে, অর্ঘ্যর বন্ধুর বাড়ির লোকেরা ফিরে আসেন। দেখেন ঘরে অচৈতন্য হয়ে পড়ে রয়েছে নাবালিকা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরিবারের দাবি, গণধর্ষণের পর খুনেরও চেষ্টা করা হয়।
নির্যাতিতার দিদির দাবি, টাকা দিয়ে তাঁদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত অর্ঘ্যের পরিবার। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন যুবককে গ্রেফতার করে সোনারপুর থানার পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলার পাশাপাশি গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।