কলকাতা: দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়েছে কাল কলকাতাবাসী। গতকাল সন্ধে ৬টা ১০-এ স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসের ১৩ তলায় আগুন লাগে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন বাবাকে, কেউ হারিয়েছেন স্বামীকে। গোটা ঘটনায় রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত  বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।


নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে অমিত মালব্য লেখেন, যখনই পশ্চিমবঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ক অপরকে দোষারোপ করেন। ২০১৬ সালের ব্রিজ ভেঙে পড়া কিংবা আমরির অগ্নিকাণ্ডের জন্য তিনি বামপন্থীদের দায়ী করেছিলেন। ধুলাগড়ের দাঙ্গার জন্য সোশাল মিডিয়াকে দায়ী করেন। আর আজ স্ট্র্যান্ড রোডের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি রেল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন।



কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?


গতকাল এই ঘটনার পরই সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রেলের জায়গা, রেলের সবটাই। তাদের ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। ওরা কেউ আসেনি। দমকল থেকে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। এত বড় বিল্ডিংয়ে কোথায় কী রয়েছে জানা সহজ হতো। সেই সহযোগিতাও করেনি বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু আমাকে জানিয়েছেন। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চাই না। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে পুরমন্ত্রী, দমকলমন্ত্রী, সকলে আছেন। আগুন নিয়ন্ত্রিত, তবে প্রাণগুলো চলে গিয়েছে।”


মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত মালব্য। উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধে ৬টা ১০-এ স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেলের অফিসের ১৩ তলায় আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে ১২ তলায়। সার্ভার রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অফিসে প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তারের কুণ্ডলী। ছিল ফলস্ সিলিং, প্লাইউড দিয়ে তৈরি কিউবিকল। মৃতদের তালিকায় আছেন রেলের আধিকারিক থেকে দমকল কর্মীরা।